বিশ্বজুড়ে সমালোচিত ট্রাম্পের বিদায়, তবে জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত সু চি
মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রাজধানী নেপিদ সহ সাতটি রাজ্য ও সাতটি অঞ্চলে একযোগে ভোট চলছে। বিবিসি জানাচ্ছে, দেশটিতেই সেনা শাসন অবসানের পর এটি দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত সর্বময় নেত্রী অং সান সু চি।
মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। নির্বাচনে দেশটির রাখাইন ও কাচিন প্রদেশে হামলার বিরাট আশঙ্কা আছে। তবে সেনা বাহিনির টহলও চলছে।
এই রাখাইন প্রদেশে (আরাকান) বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের গণহত্যায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হয়েছেন নোবেল জয়ী নেত্রী সু চি। জাতিসংঘেও তিনি সমালোচিত হন। আন্তর্জাতিক স্তরে তার নোবেল ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি উঠেছে বারবার।
মিয়ানমারে গণহত্যা থেকে বাচতে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার সমকালীন সব থেকে বৃহত্তম শরণার্থী শিবির তৈরি করেছে। ঢাকা চায় অবিলম্বে এই শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিক মিয়ানমার। বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছেন সে দেশের সর্বময় নেত্রী সুচি।
এই পরিস্থিতির মধ্যে মিয়ানমারের নির্বাচন। বিবিসি ও সিএনএন জানিয়েছে, আউং সান সু চি এর দল এনএলডি আবারও ক্ষমতায় আসবে। কারণ, প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য দলগুলোর অস্তিত্ব প্রায় নেই। বিশ্লেষকদের যুক্তি, সু চি ক্ষমতায় থাকুন এটাই চায় দেশটির আসল ক্ষমতাধর সেনা কর্তারা।
নোবেলজয়ী সু চি ও তার দল এনএলডি ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিপুল জয় পান। টানা ৫০ বছর সেনা শাসনে থাকার পর মিয়ানমারে প্রথম গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হয়। কিন্তু আইন অনুসারে বিদেশি বিবাহ করার জন্য সু চি প্রেসিডেন্ট হননি। তিনি মিয়ানমারের ‘ডি ফ্যাক্টো’ সুপ্রিমো বা সর্বময় নেত্রী।