তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৪০৯ রান
স্পোর্টস ডেস্ক : চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েস ও শামসুর রহমান শুভর জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪০৯ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এখনও অতিথিদের চেয়ে ১৭৮ রানে পিছিয়ে রয়েছে টাইগাররা।
আজ বৃহস্পতিবার গতকালের ৮৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। আগের দিনের মতো এদিন দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করেছেন ইমরুল কায়েস ও শামসুর রহমান শুভ। শূন্য রানে তামিম ইকবালের বিদায়ের পর কায়েস-শুভ দলকে প্রাথমিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেন। আজও দিনের প্রথম সেশনটা সুন্দর ভাবেই সামাল দিয়েছেন দায়িত্বশীল দুই ব্যাটসম্যান।
লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগেই নতুন রেকর্ড গড়েন ইমরুল কায়েস ও শামসুর রহমান শুভ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২৩২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তারা। দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে তামিম ইকবাল ও জুনায়েদ সিদ্দিকী ২০০ রানের জুটি গড়েছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে রানের দিক থেকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিমের। গত বছরের মার্চে তারা শ্রীলঙ্কার গলে ২৬৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন। দিনের শেষ বিকেলে সাত উইকেট পরেছে। সেঞ্চুরির পর আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করতে গিয়ে উইকেট বিলিয়েছেন ওপেনার শামসুর রহমান শুভ। অজন্তা ম্যান্ডিসকে সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়ে বিভ্রান্ত হন তিনি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১১ চার ও এক ছক্কায় ১০৬ রান সংগ্রহ করেন শামসুর রহমান শুভ।
ভালো একটা সূচনা এনে দেয়ার পরও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বুক চিতিয়ে লড়াই করতে পারেননি। উইকেটে এসে স্থায়ী হতে পারেননি মুমিনুল হক সৌরভ। দিলরুয়ান প্যারেরা শিকার হন মুমিনুল (১৩)। খানিক ব্যবধানে বিদায় নেন ইমরুল কায়েসও। অজন্তা ম্যান্ডিসের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন ইমরুল কায়েস। সাজঘরে ফেরার আগে ১৭ চার ও এক ছক্কায় ১১৫ রান সংগ্রহ করেন তিনি। পঞ্চম উইকেট জুটিতে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়তেই বিপদে পরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সাজঘরে ফেরার আগে ২০ রান করেন।
দ্রুত বিদায় নেন সাকিব আল হাসানও। উইকেট ত্যাগ করার আগে নয় বাউন্ডারিতে ৫০ রান করেন তিনি। দিনের একেবারে শেষ দিকে উইকেট খুইয়েছেন নাসির হোসেন। উইকেটে সেট হওযার পর লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। ম্যান্ডিসের তৃতীয় শিকারে ধরা পড়েন নাসির। সাজঘরে ফেরার আগে সাত চারের সাহায্যে ৪২ রান করেন। উইকেটে নামার আগেই বিদায় নিয়েছেন পেসার সোহাগ গাজী।
৩২ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এখন দায়িত্ব তার কাঁধে। তিনি এখন আল-আমিন ও আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে ইনিংসটা কতদূর নিয়ে যেতে পারেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। শুক্রবার দিনের প্রথম সেশনটা খেলতে পারলে লিড নেয়া সম্ভব হবে। এর ব্যতিক্রম হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই