প্রবৃদ্ধি নেমে এলেও বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে : স্পিকার
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারিতে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে সঙ্গতভাবে প্রবৃদ্ধি ৫.২ ভাগে নেমে এলেও প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপের কারণে পৃথিবীর অনেক দেশ থেকেই বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ও কোভিড-১৯ মহামারির চ্যালেঞ্জগুলো থেকে উত্তরণে ইতিবাচক পদক্ষেপগুলো পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দলিলের চূড়ান্ত খসড়ার ওপর আয়োজিত পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের আয়োজনে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আরো বক্তব্য রাখেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ আমির হসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, আবুল কালাম আজাদ এমপি, সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, শাহজাহান খান এমপি, মেহের আফরোজ এমপি, আবিদা আঞ্জুম মিতা এমপি, রাশেদ খান মেনন এমপি, সিমিন হোসেন রিমি এমপি, মকবুল হোসেন এমপি, এ বি তাজুল ইসলাম এমপি।
সভায় সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম অনুষ্ঠানে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দলিলের চূড়ান্ত খসড়া উপস্থাপন করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান ডিজিটাল যুগে ই-কমার্স ও অনলাইন বাণিজ্যের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় এক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কাস্টম আইন ইত্যাদি বিষয়ে সহায়তা দিতে হবে। কেননা এর মাধ্যমে পণ্য দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিকভাবে আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যেখানে দারিদ্রের হার নেমে আসবে ৩ শতাংশে ও চরম দারিদ্র্যের হার হবে ১ শতাংশের কম। এর মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশ হতে ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ। দেশের আয়-বৈষম্য নিরসণ করে নারীদের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশলে সম্পৃক্ত করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে সকলের জন্য যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।