বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Friday, January 10, 2025
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » পূর্বাচলে মার্চে বাণিজ্য মেলা

পূর্বাচলে মার্চে বাণিজ্য মেলা 

204313_bangladesh_pratidin_mella

করোনার কারণে জানুয়ারিতে হচ্ছে না ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০২১। তবে করোনার প্রকোপ কমলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে মার্চ মাসের যে কোনো দিন উদ্বোধন করা হবে মাসব্যাপী এই মেলা।

শারীরিক উপস্থিতির পাশাপাশি এবার অনলাইনেও চলবে মেলা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ইপিবি সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর ইংরেজি বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে মেলা শুরু হয়। কিন্তু নভেম্বর থেকে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ আসায় এবারের মেলা মার্চে শুরুর প্রস্তাব এসেছে। সবকিছু বিবেচনা করে আগামী মার্চে পূর্বাচলে স্থায়ী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা অনলাইন ও শারীরিক উপস্থিতি- উভয় পদ্ধতিতে আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর বোর্ডসভায় আগামী বাণিজ্যমেলা নিয়ে আলোচনা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে সভায় বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এএইচ এম আহসান, ইপিবি মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বোর্ড কমিটির সভা সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারির জন্য আগামী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে না। এজন্য বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ বা ২৬ মার্চ বাণিজ্যমেলা উদ্বোধনের জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। যা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলেই মার্চে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। তবে করোনার জন্য কোন প্রসেসে বা কীভাবে মেলা করা হবে সে বিষয়ে আলোচনার জন্য শিগগিরই একটি বৈঠক করা হবে। সেটা হবে প্রধানমন্ত্রী যদি মার্চে বাণিজ্যমেলা আয়োজনের সম্মতি দেন তাহলে।

এ বিষয়ে ইপিবি মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, করোনার জন্য এবার আমরা জানুয়ারিতে মেলা আয়োজন করতে পারছি না। তবে আনন্দের কথা হলো বাণিজ্যমেলার নিজস্ব কমপ্লেক্স বা বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রটি ৩১ ডিসেম্বর পেয়ে যাবো। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা তারিখ চেয়ে প্রাথমিকভাবে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এখন প্রধানমন্ত্রী যদি সম্মতি দেন তাহলে মেলা আয়োজন করা হবে। আর প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত তারিখে মেলা উদ্বোধন করা হবে। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। তিনি সিদ্ধান্ত দিলে আমরা আগামী সপ্তাহে মেলা স্টিয়ারিং কমিটির সভা করে চূড়ান্ত করবো।

করোনার জন্য মেলা কীভাবে আয়োজন করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যেহেতু নিজস্ব প্রদর্শনী সেন্টার পেয়ে যাচ্ছি। তাই পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে স্টল বা প্যাভিলিয়ন স্থাপন করা হবে। এখন পর্যন্ত কোনো দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। স্টিয়ারিং কমিটির সভায় কী সিদ্ধান্ত হয় সেটা ওপর নির্ভর করছে।

তিনি বলেন, করোনার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারের বাণিজ্যমেলা সীমিত পরিসরে অনলাইন ও শারীরিক উপস্থিতি উভয় পদ্ধতিতেই আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এবারের মেলার আয়োজন করা হবে। এজন্য স্টল বা প্যাভিলিয়নের অনলাইন ব্যবস্থাপনা রাখা হবে। এছাড়া নির্দিষ্ট সংখ্যক টিকিট দিয়ে মেলা আয়োজন করা যায় কিনা সে বিষয়ে ভাবছি। যাতে দর্শনার্থী বা ক্রেতারা মেলা প্রাঙ্গণে না গিয়েও পণ্য দেখতে ও কিনতে পারবেন। পাশাপাশি অনলাইনে বিভিন্ন দেশের ক্রেতারাও পণ্য কেনার জন্য অর্ডার করতে পারবেন।

গত ২৫ বছরে ধরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অস্থায়ী জায়গায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতি বছর জানুয়ারি ১ তারিখে প্রধানমন্ত্রী এ মেলা উদ্বোধন করেন। কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাসে জন্য মেলা দুই মাস পিছিয়ে মার্চে উদ্বোধন করা হতে পারে বলে জানা যায়।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone