বইমেলা আয়োজনের জন্য দুই মাস সময় দিতে হবে: বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেছেন, রবিবার সকালে দুই প্রকাশক সমিতির নেতা ও সদস্যরা আমার সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে তারা শারীরিক উপস্থিতিতে অমর একুশে বইমেলা আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন। আমি তাদের কাছে লিখিত প্রস্তাবনা জানতে চেয়েছি। কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অমর একুশে বইমেলা আয়োজন করা যায় সেটি তাদের কাছে জানতে চেয়েছি। তাদের প্রস্তাবনা পাওয়ার পর আমরা সেটা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। একইসঙ্গে প্রকাশকদের আমি বলেছি, বইমেলা আয়োজনের জন্য বাংলা একাডেমিকে কমপক্ষে দুই মাস সময় দিতে হবে।
রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এসব তথ্য জানান।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, আসন্ন অমর একুশে গ্রন্থমেলা কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে সেটি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির কাউন্সিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতে আমরা সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে কিছু প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। যার মধ্যে রয়েছে- শারীরিক উপস্থিতিতে বইমেলা স্থগিত করা এবং বইমেলার আনুষঙ্গিক আয়োজনও ভার্চ্যুয়ালি করার প্রস্তাব দিয়েছি। বইমেলা ভার্চ্যুয়ালি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. কায়কোবাদের সহযোগিতা পাবো। এসব কিছু রবিবার লিখিতভাবে পাঠিয়েছি।
এর আগে বৈঠক শেষে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, ভার্চ্যুয়ালি নয় শারীরিক উপস্থিতেই অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে এবং সেটি ফেব্রুয়ারি মাসেই। একইসঙ্গে ২১ ফেব্রুয়ারির আগেই শুরু করতে চাই। আমরা আমাদের এসব প্রস্তাবনা বাংলা একাডেমিকে লিখিতভাবে পাঠাবো।
রবিবার প্রকাশকদের দুই সংগঠন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নেতারা মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন।