আটকে পড়া প্রবাসীদের সরকারি খরচে ফিরিয়ে আনা হবে: জানালেন মন্ত্রী
লেবাননসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া প্রবাসীদের সম্পূর্ণ সরকারি খরচে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
আজ শুক্রবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২০ উপলক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
আজ ১৮ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য— ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, দক্ষ হয়ে বিদেশ যান।’ এবারের মূল ও জাতীয় অনুষ্ঠান আগামী ৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশ প্রত্যাগত কর্মীদের এবং প্রবাসে করােনায় মৃত কর্মীর পরিবারের উপযুক্ত সদস্যকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে সহজ শর্তে ২০০ কোটি টাকার বিনিয়ােগ ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করছে। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বাের্ডের তহবিল থেকে গত ১৫ জুলাই হতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে মাত্র ৪ শতাংশ সরল সুদে ও সহজ শর্তে এ ঋণ প্রধান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আওতায় ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪১১ জন ঋণগ্রহীতাকে ইতােমধ্যে ৮ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হয়।’
তিনি জানান, বিদেশফেরত কর্মীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অনুকূলে সরকার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ অনুমােদন করেছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২০০ কোটি টাকা থেকে পুরুষ কর্মীদের জনা ৯ শতাংশ সুদে ও নারী কর্মীদের জন্য ৭ শতাংশ সুদে বিতরণ শুরু হয়েছে। বিদেশ প্রত্যাগত কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণ সেবা শক্তিশালীকরণের এই প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে দ্রুত বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা যায়।
মন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কর্মীদের একটি অংশ দেশে ফেরত এসেছে। গত ১ এপ্রিল থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৫৮ জন প্রবাসী কর্মী দেশে ফিরে এসেছেন। তাদের অনেকে কাজের মেয়াদ শেষে বা কাজ না থাকায় দেশে ফেরত এসেছেন। যদিও আশঙ্কা করা হয়েছিল, অর্থনৈতিক মন্দা এবং করােনার প্রভাবে প্রধান কর্মী নিয়ােগকারী দেশসমূহে শ্রমবাজার বিপর্যস্ত হওয়ার কারণে অনেক বিদেশি কর্মী বেকার হয়ে পড়বে। কিন্তু আশার কথা হলাে, এখন পর্যন্ত ফেরত আসা কর্মীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠেনি। এক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিদেশি মিশন ও দূতাবাস একযােগে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।