বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Friday, January 10, 2025
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » রোহিঙ্গা জেনোসাইড মামলা; মিয়ানমারকে পর্যবেক্ষণ করবে আইসিজে কমিটি

রোহিঙ্গা জেনোসাইড মামলা; মিয়ানমারকে পর্যবেক্ষণ করবে আইসিজে কমিটি 

115440_bangladesh_pratidin_rohingya

দৃশ্যত পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না ঘটিয়েই আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতকে (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-আইসিজে) তার আদেশ মানার তথ্য দিচ্ছে মিয়ানমার। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমার বাস্তবে আদেশ কতটা মানছে তা পর্যবেক্ষণ করতে তিনজন বিচারকের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করেছেন আইসিজে।

গত সোমবার রাতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আইসিজে।

জেনোসাইডবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ লঙ্ঘন ও রোহিঙ্গা জেনোসাইড সংঘটনের অভিযোগে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গত বছর আইসিজেতে মামলা করে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে অন্তর্বর্তী আদেশের বিষয়ে শুনানির পর ২৩ জানুয়ারি আইসিজে গাম্বিয়ার আবেদন গ্রহণ করেন এবং মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা জেনোসাইড ঠেকাতে উদ্যোগ নেওয়াসহ সুনির্দিষ্ট বেশ কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তী আদেশ দেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে আইসিজের আদেশ বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়ার দায়িত্ব ছিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের। আইসিজের সেই আদেশের অনুলিপি দুই দিনের মধ্যে হাতে পেয়েই জাতিসংঘ মহাসচিব তা নিরাপত্তা পরিষদে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে আইসিজের আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে কোনো প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীনের এ বিষয়ে আগ্রহের ঘাটতি রয়েছে।

কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ নিরাপত্তা পরিষদের সমমনা কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র এক বিবৃতিতে মিয়ানমারকে আইসিজের আদেশ মেনে চলার আহ্বান জানায়। এমন পটভূমিতে আইসিজে নিজেই আদেশ মেনে চলা পর্যবেক্ষণ করতে অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছেন।

আইসিজের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের প্রধান বিচারিক কাঠামো আইসিজে তার কাজের ধরন ও প্রক্রিয়া পর্যালোচনার অংশ হিসেবে আদেশ বাস্তবায়ন সম্পর্কিত নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আওতায় তিনজন বিচারকের সমন্বয়ে একটি অ্যাডহক কমিটি গঠিত হবে। ওই কমিটি আইসিজের অন্তর্বর্তী আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়টি পর্যবেক্ষণে আদালতকে সহযোগিতা করবে।

আইসিজে আরো বলেছেন, অ্যাডহক কমিটি মামলায় বিবদমান দুই পক্ষের সরবরাহ করা তথ্য-উপাত্ত পর্যবেক্ষণ করবে এবং আদালতকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর তাদের মতামত জানাবে। এ ছাড়া সম্ভাব্য করণীয় বিষয়েও কমিটি আদালতকে সুপারিশ করবে।

উল্লেখ্য, আইসিজের কোনো আদেশ বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ নেই। তাই আইসিজের আদেশই চূড়ান্ত। আইসিজে ছাড়াও দ্য হেগে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট-আইসিসি) কৌঁসুলির দপ্তর মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের গণবাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসার পটভূমিতে সম্ভাব্য গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধ অনুসন্ধান করছে। আইসিজে রাষ্ট্রের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারেন। অন্যদিকে ব্যক্তিবিশেষের অপরাধের বিচারে কাজ করে আইসিসি।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone