বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Friday, January 10, 2025
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » এবার সৌদি যুবরাজকেও হত্যার অভিযোগ থেকে রেহাই দিচ্ছেন ট্রাম্প!

এবার সৌদি যুবরাজকেও হত্যার অভিযোগ থেকে রেহাই দিচ্ছেন ট্রাম্প! 

114126_bangladesh_pratidin_Trump_Salman

আর মাত্র কয়েক দিন পরই ক্ষমতা ছাড়তে হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নিজের ক্ষমতা ব্যবহারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প। ২৯ জনকে অপরাধীকে ক্ষমা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, যাদের প্রত্যেকেই দাগী আসামি। অর্থাৎ আইনি প্রক্রিয়া থেকে মুক্তি দিলেন তাদের। সেই তালিকায় রয়েছেন মেয়ের শ্বশুর চার্লস কুশনার (ট্রাম্পের বেয়াই), পল মানাফোর্ট, ট্রাম্পের দীর্ঘ দিনের পরামর্শদাতা রজার স্টোনের মতো ঘনিষ্টরা।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এর মধ্যে ২৬ জন পূর্ণ ক্ষমা পাচ্ছেন। বাকি তিনজনের সাজার মেয়াদ কমবে। এই ধরনের ক্ষমা সাধারণত ক্ষমতায় থাকার শেষদিনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা। ট্রাম্প সেই পথে না হেঁটে আগেভাগেই তা করলেন।

এদিকে, এই ক্ষমার সুযোগ পাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও। তাকেও আইনি রক্ষাকবচ দিতে চলেছেন ট্রাম্প।

পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার বন্ধু দেশ হিসেবে সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

ইরান ও তুরস্ককে কোণঠাসা করে রাখতে সৌদি যুবরাজের মন জয় করাটাই এখন বিদায়ী ট্রাম্প প্রশাসনের মূল উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যেই একাধিক খুনের মামলা থেকে যুবরাজ রেহাই দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

মার্কিন বিচারবিভাগ ও পররাষ্ট্র দফতর সূত্রে খবর, কানাডায় পলাতক ও রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়া সৌদি আরবের এক দুঁদে গোয়েন্দা অফিসার সাদ আল জাবরিকে খুনের চেষ্টা করেছিল মোহাম্মদ বিন সালমানের কিলিং এজেন্টরা। ওই হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। অভিযোগ, সিআইএ’র হয়ে কাজ করছিলেন জাবরি। সৌদি রাজপরিবারের একাধিক গোপন খবর ছিল তার কাছে। যুবরাজ মোহাম্মদের নিজস্ব ঘাতক বাহিনীর কথাও জেনে গিয়েছিলেন আল জাবরি।

এদিকে, তদন্তে নেমে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ জানতে পারে, স্বয়ং যুবরাজের নির্দেশেই এই খুনের ছক কষা হয়েছিল। মার্কিন বিচারবিভাগের কাছে অভিযুক্ত ছিলেন যুবরাজ মোহাম্মদ। এবার সৌদি আরবের বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া মজবুত করতে তাকে সেই অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে চলেছে মার্কিন বিচারবিভাগ।

এদিকে, আল জাবরিকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ থেকে রেহাই পেলে সৌদি রাজপরিবারের কড়া সমালোচক ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার ঘটনা থেকেও রেহাই পেয়ে যাবেন মোহাম্মদ বিন সালমান। তুরস্ক-সহ একাধিক দেশের অভিযোগ, দুনিয়া কাঁপানো এই খুনের ঘটনার আসল মাস্টারমাইন্ড ছিলেন যুবরাজ মোহাম্মদ। তার নির্দেশেই ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে খুন করা হয়েছিল সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে। বড়সড় চেহারার ষাটোর্ধ্ব খাশোগির দেহাংশ গোপন করতে নাইট্রিক অ্যাসিড ও সালফিউরিক অ্যাসিডে চোবানো হয়েছিল। সেখানেই গলে মিশে যায় হাড়, মাংস সব কিছু। কিন্তু আল জাজিরা তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে, খাশোগির দেহাংশ দূতাবাসের হেঁশেলের গ্যাস ওভেনে পুড়িয়ে ছাই করা হয়েছিল। তার সেই ছাই গুলো ম্যানহোলে ফেলে দেওয়া হয়। এভাবেই খাশোগির অস্তিত্ব ও মৃতদেহ নিরুদ্দেশ করেছে সৌদি সরকার। সৌদি রাজপরিবারের দুর্নীতি ও বহু কেলঙ্কারির ঘটনা সংবাদপত্রে ফাঁস করে দিয়েছিলেন জামাল খাশোগি

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone