মঞ্জু হত্যার রায় নিয়ে সংশয়
আদালত প্রতিবেদক : বহুল আলোচিত জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য আছে সোমবার। তবে হঠাৎ করে বিচারক বদল হওয়ায় আজ রায় প্রকাশ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। মামলাটির রায় আজ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানা গেছে।
মামলাটির বিচারক হোসনে আরা আকতার ১০ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন; কিন্তু তার পরিবর্তে মামলাটির বিচারের দায়িত্ব পেয়েছেন দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ হাসান মাহমুদ ফিরোজ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক এ মামলার বিষয়ে আগে থেকে অবগত নন। এজন্য আজ রায় ঘোষণা নাও হতে পারে।
এ নিয়ে মামলায় ২২ বার বিচারক বদল হয়েছে। অনেকে মনে করেন- রাজনৈতিক কারণে ১৯ বছর ধরে মামলাটি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ মোট পাঁচজনের বিচার চলছে। এর মধ্যে এরশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো- ১৯৮১ সালের ৩০ মে তত্কালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে তার (এরশাদের) নির্দেশে কতিপয় সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তত্কালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ছিলেন মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে তাকে পুলিশ আটক করে। এরপর ২ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে হাটহাজারী থানার পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশের কাছ থেকে মেজর কাজী এমদাদুল হক সেনা হেফাজতে নেন। পরে তাকে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়।
১৯৯৫ সালের ১ মার্চ আসামি এমদাদুল হক, ১২ মার্চ মোহাম্মদ আবদুল লতিফ ও শামসুর রহমান এবং ১৮ জুন মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করা হয়। আর আগে থেকেই কারাগারে থাকা এরশাদকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় ওই বছরের ১১ জুন। আসামিরা সবাই বর্তমানে জামিনে আছেন।