বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Friday, January 10, 2025
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » ৫ মাসেই লক্ষ্যমাত্রার ৯৫.২২ শতাংশ সঞ্চয়পত্র বিক্রি

৫ মাসেই লক্ষ্যমাত্রার ৯৫.২২ শতাংশ সঞ্চয়পত্র বিক্রি 

115708_bangladesh_pratidin_Savings

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই বিক্রি হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ দশমিক ২২ শতাংশ সঞ্চয়পত্র। ব্যাংকখাতে আমানতের সুদ কমে যাওয়ায় মানুষ এখন ঝুঁকছে সঞ্চয়পত্রের দিকে। যে কারণে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের হিসাবে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ১৯ হাজার ৪৪ কোটি ৯২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

চলতি বছরের অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের প্রকৃত বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৯০৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৫১৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

নভেম্বর মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ৯৬১ দশমিক ২৫ শতাংশ বা ৩ হাজার ৮১ কোটি টাকা বেড়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩২০ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। বছর শেষে বিক্রির পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করতে পারে।

সঞ্চয় অধিদফতরের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর শেষে বিক্রির পরিমাণ ৩৯০ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ২১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা হয়েছে। ২০১৯ সালের অক্টোবর শেষে বিক্রির পরিমাণ ছিল ৮২২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

একজন প্রবীণ ব্যাংকার বলেন, করনীতি কঠোর করার পরেও সঞ্চয়পত্রে অতিরিক্ত বিনিয়োগ ইঙ্গিত দেয় যে দেশের মানুষের বিনিয়োগের জন্য সঞ্চয়পত্রের চেয়ে ভালো বিকল্প আর নেই।

চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ঋণের সুদ ৯ শতাংশ বাস্তবায়ন করার পরে অধিকাংশ ব্যাংক আমানতের সুদ ৬ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছে। অপরদিকে কিছু কিছু ব্যাংকের আমানতের সুদ ২ শতাংশ পর্যন্ত নেমেছে।

এখনো সঞ্চয়পত্রের সুদ ১২ শতাংশ হওয়ার কারণে ১০ শতাংশ ট্যাক্স দেওয়ার পরেও মানুষ সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারা ও বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ না থাকায় বিভিন্ন সংস্থা তাদের তহবিল ব্যাংকে রাখার পরিবর্তে নিরাপদ এবং উচ্চ সুদে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরের শুরুতেই অস্বাভাবিক বেড়েছে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছিল ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকায়।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।

ঘাটতির অর্থায়নে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রিসহ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone