কিশোর অপরাধ দমনে পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের সুপারিশ
যশোর শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে গত আগস্টে তিন কিশোর হত্যা পরে ডিসেম্বর মাসে সেখান থেকে আট কিশোরের পলায়নের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে দেশের কিমোর অপরাধ দমনে শিশু-কিশোর পুনর্বাসন ও উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি। এছাড়া কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোর আবাসন সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে কমিটি।
সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত ‘সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান (আমন্ত্রিত) কমিটির সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন, সাগুফতা ইয়াসমিন, কাজী কানিজ সুলতানা, আরমা দত্ত বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
সমাজসেবা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, যশোরের পুলেরহাটের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের আসন সংখ্যা ১৫০। বর্তমানে সেখানে রয়েছে ৩৪৭টি শিশু-কিশোর। গাজীপুরের টঙ্গীতে আসন সংখ্যা ৩০০, সেখানে নিবাসীর সংখ্যা ৫৩৩। আর কোনাবাড়িতে মেয়েদের জন্য উন্নয়ন কেন্দ্রের আসন সংখ্যা ১৫০, সেখানে আছে ৮৩ জন।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দুস্থদের জন্য যে সকল কর্মসূচি/অনুদান ও ভাতা রয়েছে, তার একটি জাতীয়ভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরির সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে উপজেলাভিত্তিক সমাজসেবা অফিসগুলোকে একই কম্পাউন্ডে আনার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বৈঠকে উত্তরাঞ্চলে রাজশাহী, পাবনা, ঠাকুরগাঁও জেলায় আদিবাসিরা যেন সমাজকল্যাণ অনুদান/ভাতা পায়, সেটি তদারকি করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।