বাংলাদেশসহ বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্যের দাম কমেছে
নিউজ ডেস্ক : উৎপাদন বৃদ্ধি ও আমদানি চাহিদা কমার কারণে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক বাজারে গম, ভুট্টা ও ধানের দাম কমেছে। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণ ও জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে সোমবার এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১২ সালের পর প্রত্যেক মাসেই ১ শতাংশ করে গমের দাম হ্রাস পেয়েছে। এক বছরে ১৭ শতাংশ দাম কমে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দাঁড়িয়েছে ২৮৮ ডলারে।
বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারের চিত্র তুলে ধরে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা জানিয়েছে, ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত খাদ্যশস্যের দাম স্থিতিশীল ছিল। তবে এ বছরের জানুয়ারিতে দাম বাড়লেও বর্তমানে এসব পণ্যের বাজার স্থিতিশীল।
জরিপ চলাকালীন মোটা চাল আর গমের আটা ছিল কেজিপ্রতি ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে। দুই বছর আগে বাংলাদেশের বাজারে মোটা চালের দর ছিল কেজিপ্রতি ২৮ টাকা। এ বছরের জানুয়ারিতে তা হয়েছে ৩৪.৫০ টাকা। গমের আটা সে সময় ছিল ২৭ টাকা। এখন হয়েছে ৩৩.৩০ টাকা। একই সময়ে ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তানে এসব খাদ্য শস্যের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। তবে ভারত আর আফগানিস্তানে ছিল ৩৫ টাকার নিচে।
এদিকে আমদানি চাহিদা কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহতভাবে চালের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এফএও’র হিসাবে ধানের দাম প্রতিমাসে ১.৩ শতাংশ করে কমেছে। তবে এক্ষেত্রে ভালো অবস্থানে চালের প্রধান রফতানিকারক থাইল্যান্ড।
গত বছরের ডিসেম্বরে টনপ্রতি দাম ৪৫৯ ডলার থেকে মাত্র ৪ ডলার কমে হয়েছে ৪৫৫ ডলার। একই সময় ভারত ও ভিয়েতনামেও রফতানি মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সংস্থাটির হিসাবে, টনপ্রতি চালের মূল্য সর্বোচ্চ ছিল ২০০৮ সালের মে মাসে ৯৬৩ ডলার। এখন সেটা হয়েছে ৪৫৭ ডলার। ২০১২ সালের জুলাইয়ে ভুট্টার দাম ছিল ৩৩০ ডলার। এক বছরে ৩৫ শতাংশ দাম হ্রাস পেয়ে এখন টনপ্রতি মূল্য ১৯৮ ডলার।