হেসেখেলেই সিরিজ জিতলো টাইগাররা
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে টাইগারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৪৮ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পেয়েছে টাইগাররা। একই সঙ্গে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সহজেই সিরিজ জিতলো তামিম ইকবালের দল। এ নিয়ে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টানা তৃতীয় সিরিজ জয় পেল বাংলাদেশ।
শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে এবং ১০০ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
১৪৯ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। কিন্তু সেট হয়েও ২২ রানের ইনিংস খেলে ক্যারিবীয় স্পিনার আকিল হোসেনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন লিটন। এরপর জেসন মোহাম্মদের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন শান্ত। তিনে নেমে টানা দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হলেন এই বাঁহাতি। আগের ম্যাচে করেছিলেন ১ রান, এবার বিদায় নিলেন ১৭ রান করে।
লিটন-শান্ত বিদায় নিলেও রানের চাকা সচল রাখেন সাকিব ও তামিম। আগের ম্যাচে অল্পের জন্য ফিফটি মিস করা তামিম এই ম্যাচে ৪৮তম ফিফটির দেখা পেয়ে যান। কিন্তু ঠিক এরপরই ক্যারিবীয় পেসার রেইফারের বলে লুজ শট খেলে উইকেটরক্ষক জশুয়া সিলভার হাতে ক্যাচ তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক। বিদায়ের আগে বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৭৬ বলে ৫০ রান। ৩ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো এই ইনিংস।
তামিম বিদায় নিলেও মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে সহজেই বাকি পথ পাড়ি দেন সাকিব। এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৪৩ রান। ইনিংসটি খেলার পথে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৫০০ রান এবং ১০০ উইকেটের অনন্য কীর্তি গড়েন সাকিব। এক ভেন্যুতে এমন রেকর্ড সত্যিই অবিশ্বাস্য। অন্যদিকে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।
এর আগে সাকিব-মিরাজের ঘূর্ণিতে দিশেহারা উইন্ডিজ অলআউট হয় মাত্র ১৪৮ রানে। মোস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদও রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
৯.৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং ফিগার। ২টি করে উইকেট নিয়েন সাকিব ও মুস্তাফিজ এবং একটি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ।