চীন সরকারের সমালোচনা করে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন তারা
চীন সরকারের সমলোচনা করে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ডিং জিয়াসি ও জু জিয়ং নামে দেশটির দুই ব্যক্তি। পূর্ব চীনের শানডং প্রদেশের কাউন্টি লিন্সুর ডিটেনশন সেন্টারে তাদের আটক রাখা হয়েছে। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ডিং জিয়াসির স্ত্রী লুও শেংচুন জানান, আটক দুজনের সঙ্গে দেখা করতে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে তিনজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শানডং প্রদেশের লিনিয়ায় প্রসিকিউটরদের সঙ্গে দেখা করেছেন আইনজীবীরা। সেই সঙ্গে তারা আটক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করার জন্য অনুমতিও চান।
তবে ওই তিন আইনজীবী জানান, তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া বা মামলা নিয়ে আলোচনা না করার কথা বলা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন তারা।
আটক দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা উৎখাত’-এর অভিযোগ আনা হয়েছে। এ অভিযোগের বিচার করা হবে। আইনজীবীদের কাছে বলা হয়েছে, মামলার সঙ্গে ৪০টি ফাইল যোগ করা হয়েছে। তার সবগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক উ ইয়াংয়েই বলেন, প্রসিকিউটররা এই দুজনকে আরো বেশিদিনের সাজা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। মামলার ফাইল শ্রেণিবদ্ধ ঘোষণার অর্থ হলো অভিযুক্তদের পক্ষে যিনি কথা বলতে চান তার মুখ বন্ধ করা।
ডিং জিয়াসি ছিলেন একজন আইনজীবী। ২০১৪ সালের দিকে তার আইনজীবীর লাইসেন্স বাতিল করা হয়। সরকারি দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আয়োজনের পরেই তিনি আইনজীবীর লাইসেন্স হারান।
এছাড়া জু জিয়ং ছিলেন দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রভাষক। গ্রামীণ বাচ্চাদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে প্রচারণা চালানোর কারণে তাকে আটক করা হয়।
২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি কারাগারে ছিলেন। গত বছরের গোড়ার দিকে তিনি উহানের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা নিয়ে খোলামেলা সমালোচনা করেছিলেন।
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জিমিয়ান শহরে নাগরিক অধিকার আইনজীবী ও কর্মীদের বৈঠকে অংশ নেওয়ার পরে ডিং জিয়াসি ও জু জিয়ংকে আটক করা হয়েছিল। ওই বৈঠকে ‘চীনে গণতন্ত্রের উদ্ধার’ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।