সেক্সটিং-এর নেশায় মত্ত কৈশোর
অনলাইন ডেস্ক : টেকশ্যাভি কৈশরের দিকে অজান্তেই দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে এক অজানা আতঙ্ক। টিনএজারদের ইন্টারনেট বেড়ে চলা `সেক্সটিং`-এর জেরে তারা এবার পিডোপাইলদের নিশানা হয়ে উঠছে নিজেদের অজান্তেই।
সেক্সটিং` ইন্টারনেটে ক্রমবর্ধমান নয়া ট্রেন্ড। বিশেষত স্মার্টফোনের বিভিন্ন চ্যাটিং অ্যাপলিকেশন যেমন স্ন্যাপচ্যাট বা ফেসবুকের মত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে `সেক্সটিং`-এর রমারমা প্রচুর। `সেক্সটিং` আসলে `সেক্স` আর `টেস্কটিং`-এই দুটি শব্দদুটি মিলে তৈরি।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিনএজরার এখন প্রায়শই নিজেদের `খোলামেলা` ছবি বয়ফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ড বা নিছকই বন্ধুদের শেয়ার করে। আর এখানেই ঘটছে বিপত্তি। তারা জানছেই না কীভাবে মুহূর্তের মধ্যে সেই ছবি অন্তর্জালের পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে। তারা বুঝতেই পারছে না কীভাবে ইন্টারনেটে `পিডোফাইল (শিশুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় যারা)-দের বিকৃত যৌনাকাঙ্খার বিষয়বস্তু হয়ে উঠছে তাদের সেই ছবিগুলি। পিডোফাইলদের কাছে তাদের ছবি বিক্রি করে মুনাফা লুটছে বহু ব্যক্তি।
ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশন (আইডব্লুউএফ) নামের একটি সংস্থা জানিয়েছেন যে টিনএজাররা ইন্টারনেটে বন্ধুদের মধ্যে নিজেদের `খোলামেলা` তথাকথিত সেক্সি সেলফি পোস্ট করে তারা রীতিমত ক্রিমিনালদের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। এই ক্রিমিনালরা ইন্টারনেট থেকে সেই সব ছবি যোগাড় করে পিডোফাইলসদের সরবারহ করে।
`সেক্সটিং`-এর নেশায় মত্ত টিনএজাররা ভয়াবহ দিকটির দিকে একেবারেই নজর দেয় না। বরং বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপস-এর সিকিউরিটি প্রতিশ্রুতিতেই মজে থাকে। স্ন্যাপচ্যাট যেমন দাবি করে কোনো বন্ধুর সঙ্গে ছবি শেয়ার করার ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই সেই ছবি উধাও হয়ে যাবে। কিন্তু আইডব্লুউএফ সতর্ক করে জানিয়েছে ওই ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই খুব সহজেই সেই ছবি ডাউনলোড করে নেয়া যায়। এমনকি ফোনের স্ক্রিন-এর ছবি তুলে ফেলা যায়। তারপর সেই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়াতো আরও সহজ। মুহূর্তের মধ্যে হাজার হাজার শেয়ার হয়ে যায় সেই সব ছবি। – ওয়েবসাইট।