দেশে ২০২০ সালে কাতার চ্যারিটির সেবা পেয়েছে ৭ লাখ মানুষ
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা কাতার চ্যারিটি ২০২০ সালে বাংলাদেশে উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৭ লাখ মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দিয়েছে।
আজ সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছর ‘ওয়াটার ও সেনিটেশন’ প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৩ হাজার গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এতে প্রায় ৪ লাখ মানুষ নিরাপদ ও সুপেয় পানির সুবিধা পাচ্ছে। টেকনাফে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় সরবরাহকৃত নিরাপদ পানির সুবিধা পেয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরাসহ প্রায় ২ লাখ মানুষ। সেখানে স্থাপিত স্বাস্থ্য ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে ওষুধসহ নানা সেবা পেয়েছে ১৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পরিবার।
২০২০ সালে শিক্ষা ও আবাসিক সুবিধা সম্বলিত চারটি নতুন এতিমখানা নির্মাণ ছাড়াও দেশের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার এতিম শিশুকে বছরব্যাপী আর্থিক সহায়তা দিয়েছে কাতার চ্যারিটি। উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশীপ পেয়েছে ১৩৬ জন ছাত্র। ৮টি পরিবারকে নতুন ঘর করে দেয়া হয়েছে। বছরব্যাপী আর্থিক সুবিধা পেয়েছে ৪০টি দরিদ্র পরিবার।
স্থায়ীভাবে উপার্জনের জন্য ৩২টি পরিবারকে কৃষি জমি দেয়া হয়েছে। রমজানে প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে এবং কোরবানির মাংস পেয়েছে সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। এছাড়া সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রোগ্রামের আওতায় স্থানীয়দের চাহিদার ভিত্তিতে নানা প্রকল্প ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরী সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল) লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে নতুন বছরেও সরকারের উন্নয়ণমূলক কর্মকাণ্ডের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে কাজ করে যেতে চায় কাতার চ্যারিটি।