পাপুলের আসন শূন্য ঘোষণায় হাইকোর্টে শুনানির উদ্যোগ
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কুয়েতে চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দী কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে সংসদ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করে তার সংসদীয় আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রুল শুনানির জন্য রবিবার হাইকোর্টের নজরে আনা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু।
শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে পাপুলের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া রিট আবেদন করেন। এ রিট আবেদনে গত বছর ১৮ আগস্ট রুল জারি করেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, পাপুল, নির্বাচন কমিশন, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পাপুলের বিরুদ্ধে রিট আবেদনে বলা হয়, পাপুল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচনী হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তিনি হলফনামায় স্নাতকোত্তর উল্লেখ করলেও জমা দিয়েছেন স্নাতক সনদ।
রিট আবেদনে বলা হয়, তিনি জালিয়াতি করে ভুয়া শিক্ষাগত সনদও জোগাড় করেন। তিনি সিয়েরা লিয়নের মিলটন মরগাই কলেজ অব এডুকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সায়েন্স ইন ইকোনমিক্স বিষয়ে স্নাতক সনদ সংগ্রহ করেন। শিক্ষাবর্ষ ১৯৮৭। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, পাপুল যে বিষয়ের ওপর স্নাতক সনদ জোগাড় করেছেন কলেজটিতে ওই বিষয়ের ওপর কোনো ডিপার্টমেন্ট নেই।