ভূমিহীনদের গৃহ প্রদান মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মাইলফলক: স্পিকার
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন নিপীড়িত বঞ্চিত নির্যাতিত মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সোনার বাংলা উপহার দেয়াই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর দর্শন বাস্তবায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে নয় লক্ষ গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে ঘর প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সত্তর হাজার গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে ঘর প্রদান করা হয়েছে, যা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য মাইলফলক।
জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ ‘বঙ্গবন্ধু ও মানবাধিকার’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার ভার্চুয়াল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় প্রায় বাহান্ন হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে বিজয়ী হন বিশ জন। স্পিকারের পক্ষে স্থানীয়ভাবে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করেন বিভাগীয় কমিশনারগণ। এসময় স্পিকার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম এনডিসি। বক্তব্য রাখেন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, কমিশনের সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এক অনন্য দলিল। মানুষের মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষিত রয়েছে আমাদের সংবিধানে। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ দেশে ফিরেই এই সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আরো বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন থেকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু জনগণের জন্য কল্যাণকর গণতন্ত্র চর্চা করে গেছেন। জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে আজন্ম লড়াই সংগ্রাম করেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ ধরণের আয়োজন তরুণ প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন ছড়িয়ে দিবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরমা দত্ত এমপি, বিভাগীয় কমিশনারগণ, মাঠ প্রশাসন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তা, পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।