মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জোরদার হচ্ছে ছাত্র-শিক্ষক আন্দোলন
মিয়ানমার সেনাবাহিনী সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতায় রাজপথে নেমে এসেছে সেদেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা নাগরিক আন্দোলনের গতি বাড়িয়ে চলেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীরা কারাগারে থাকা নেত্রী অং সান সু চির পক্ষে সমর্থন জানায় এবং তার দলের রঙ লাল ফিতা পরেন।
গত সোমবার সেনা অভ্যুত্থানের দিন থেকে সু চি এবং সে দেশের শীর্ষ নেতারা আটক আছেন। যদিও জনসম্মুখে গত সোমবার থেকেই দেখা যায়নি সু চি কে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি গৃহবন্দি আছেন।
মিয়ানমার, যা বার্মা নামেও পরিচিত, সোমবার অভ্যুত্থানের পরে দেশটির বেশিরভাগ এলাকা শান্ত ছিল।
তবে শুক্রবার বিকালে কয়েকশ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ডাগন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে জড়ো হন। যেখানে তারা তিন আঙুলের সালাম প্রদর্শন করেন – এই চিহ্নটি এই অঞ্চলে প্রতিবাদকারীরা কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরোধিতা প্রদর্শনের জন্য গ্রহণ করেন।
“আমরা আমাদের প্রজন্মকে এই জাতীয় সামরিক স্বৈরশাসনের আওতায় পড়তে দেব না,” মিন সিথু নামের এক শিক্ষার্থী সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন।
এএফপি জানিয়েছে, ডাগন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘লং লাইভ মাদার সু’ উচ্চারণ করেন এবং লাল পতাকা বহন করেন। এটি এনএলডি পার্টির রঙ।
এর আগে বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মান্ডলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি বিক্ষোভ হয়। সেখান থেকে চারজনকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়।