ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো ঋণ পরিশোধে আরও ছাড় পাচ্ছে
করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ ঋণ সহায়তা দিয়েছিল বরিস জনসন প্রশাসন। আর সেই ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা কিছুটা শিথিল করে কোম্পানিগুলোর চাপ আরেকটু কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।
দেশটির অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের ১৪ লাখের বেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে লাভবান হবে।
শুক্রবার ব্রিটিশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেসব সংশোধনী আনা হয়েছে, তাতে কোম্পানিগুলোর ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বৃদ্ধি করাটা আরও সহজ হবে। আগের নিয়ম অনুসারে, যেসব প্রতিষ্ঠান ঋণের প্রথম ছয়টি কিস্তি পরিশোধ করেছে, কেবল তারাই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বিবেচিত হতো। নতুন নিয়মে সেই শর্ত তুলে দেয়া হচ্ছে। এর মানে হলো, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ গ্রহণের প্রথম থেকেই সর্বোচ্চ ১৮ মাসের গ্রেস পিরিয়ড চেয়ে আবেদন করতে পারবে।
ব্রিটিশ সরকারের ‘বাউন্স ব্যাক’ ঋণ কর্মসূচির অধীনে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি পাউন্ড (৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার) ঋণ নিয়েছে ১৪ লাখের বেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সরকারের নতুন পদক্ষেপের ফলে ঋণগ্রহীতারা তাদের লোন টার্ম ছয় বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছরে উন্নীত করতে পারবেন।
বিবৃতিতে ঋষি সুনাক বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির স্থায়িত্ব দীর্ঘায়িত হওয়ার ফলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর মন্দার চাপ অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় সংকট কাটিয়ে ফিরতে হলে তাদের কিছু সহায়তা দরকার। এর সঙ্গে তাদের আত্মবিশ্বাসও ফিরতে হবে। আমরা তাদের সেটাই দিতে চাইছি।’
ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী এমন এক সময়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এই সুখবর দিলেন, যখন তিনি আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামী মাসে ব্রিটেনের বাজেট ঘোষণা করা হবে। চলতি অর্থবছরে যুক্তরাজ্যে ৪০ হাজার কোটি পাউন্ডের বাজেট ঘাটতি দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আগামী বাজেটে সরকারি ব্যয় কমানো হতে পারে বলে ধারণা করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু ঋষি সুনাক বলেছেন, সরকারি ব্যয় কমানোর পরিবর্তে করহার বাড়ানোর ওপরই জোর দিচ্ছেন তারা।