পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিল দুদক
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মো. মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংস্থাটির সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
তিনি বলেন, শামীমা নূর পাপিয়া, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) যুব আওয়ামী মহিলা লীগ, জেলা-নরসিংদী এবং তার স্বামী মো. মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন কর্তৃক আত্মসাতে অপরাধলব্ধ আয়ের দ্বারা অর্জিত ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ভোগ দখলে রাখার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে একটি মামলা রুজু করা হয়। মামলাটি তদন্তের জন্য দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করায় তিনি যথারীতি তদন্ত সম্পন্ন করে সাক্ষ্য স্মারক বা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
দুদক সচিব আরও বলেন, প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযোগ সংশ্লিষ্ট শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মতি সুমন কর্তৃক পরস্পর যোগসাজশে জ্ঞাতসারে অপরাধলব্ধ আয়ের দ্বারা অর্জিত ৫ কোটি ৮৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকা, যা তাদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ বলে প্রতীয়মান হওয়ায় এবং উক্ত পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ তাদের খোগ দখলে রেখে অভিযুক্ত পাপিয়া এবং তার স্বামী দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বিধায় তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করে সাক্ষ্য স্মারক দাখিল করেন।
ওই দাখিলকৃত প্রতিবেদন কমিশনে উপস্থাপন করা হলে আসামি শামীমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মো. মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৮৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তাদের দখলে রাখায় চার্জশিট অনুমোদন করা হয় বলে জানান দুদক কর্মকর্তা।