মিথ্যাচারে কান না দিয়ে দেশবাসীকে টিকা গ্রহণের আহ্বান আওয়ামী লীগের
কোনো অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে কান না দিয়ে দেশবাসীকে টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। নেতারা বলেন, যে যতই অপপ্রচার করুক। আমাদের টিকাদান কার্যক্রম চলবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা রেখেছেন। পর্যায়ক্রমে দেশের ১৩ কোটি মানুষকে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিন্স) টিকাদান কেন্দ্রে টিকা গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সামনে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এই আহ্বান জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল সাড়ে আটটার পর থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত হয়ে টিকাদান কেন্দ্রের ফরম পূরণ করে টিকাদান গ্রহণ শুরু করেন। কয়েকজন নেতা সস্ত্রীক টিকাদান গ্রহণ করেন। সকাল নয়টা থেকে দশটা পর্যন্ত টিকাদান গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল ইসলাম চৌধুরী নাদেল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
দলের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান জানান, এছাড়া আমাদের আরও কয়েকজন নেতার টিকা গ্রহণ করার কথা রয়েছে। এরা হলেন উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মুকুল বোস, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং ও আজিজুস সামাদ আজাদ ডন।
টিকা গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সামনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক দেশের বিরুদ্ধে লড়াই করে এই টিকা এনেছেন প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নতির লক্ষ্যে। উনি মহামারির ভয়াল এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষকে সুস্থ রাখতে টিকার ব্যবস্থা করেছেন।
টিকা গ্রহণ নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচারকারীদের বিষয়ে রোকেয়া সুলতানা বলেন, অপপ্রচার আগেও ছিল সব কাজে। অপপ্রচার এখনো আছে। তারপরও মানুষ যেটা সঠিক সিদ্ধান্ত সেটাই মেনে নিচ্ছে আমরা মনে করি। জাতির পিতা যখন স্বাধীনতা এনেছিলেন তখনও অপপ্রচার ছিল। যে যতই অপপ্রচার করুক, আমাদের টিকাদান কার্যক্রম চলবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে স্বাস্থ্যে সুরক্ষায় প্রত্যেকটি মানুষের যেভাবে দায়িত্ব পালন করছেন, এতে আমরা প্রত্যেকে তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যেকেই যেন অপপ্রচারে না গিয়ে শরীর সুস্থ রাখার জন্য টিকা গ্রহণ করে। এটা শুধু আমার আহ্বান নয়, এটা প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান বলেও এসময় জানান রোকেয়া সুলতানা।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আমাদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একটি অংশ এখানে টিকা গ্রহণ করেছে। আমাদের মধ্যে যারা জনপ্রতিনিধি আছেন সরকারের মন্ত্রী হিসাবে আছেন তারা ইতোমধ্যে টিকা গ্রহণ করেছেন। আমরা আজকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একটি অংশ এবং ধানমন্ডি কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী আমরা আগেই নিবন্ধন করেছিলাম। আজকে আমরা একটি সরকারি টিকাদান কেন্দ্রে টিকা গ্রহণ করেছি পরিবেশ খুবই ভাল। আমরা সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেছি, তারা খুবই আগ্রহী টিকা পেতে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ২০২০ সালের বাজেট অধিবেশনে জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যখনই ভ্যাকসিন আবিষ্কার হবে, প্রথম সুযোগেই বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য তা সুনিশ্চিত করবেন। তিনি কথা রেখেছেন। ইতোমধ্যে আমরা ৭০ লাখ টিকা সংগ্রহ করেছি এবং পর্যায়ক্রমে ১৩ কোটি মানুষকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা টিকা প্রদান করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, যেখানে উন্নত রাষ্ট্র ইউরোপ-আমেরিকায় মানুষ টিকা পাচ্ছে না, সেখানে বাংলাদেশের মতো একটি দেশের নাগরিকের জন্য প্রধানমন্ত্রী টিকা গ্রহণের ব্যবস্থা করেছেন। আমরা টিকা দিয়েছি, আমরা দেশের মানুষকেও আহ্বান জানাব আপনারাও টিকা গ্রহণ করবেন।