মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা। নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে কারেন, কাচিন, শান, কিয়াহ ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষ বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
প্রথমবারের মতো বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন কেবিন ক্রু, আধ্যাত্মিক গোষ্ঠী ও প্রকৌশলীরা। প্রতিবাদে শামিল হয়েছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও। রেইনবো পতাকা নিয়ে সমকামীরাও যোগ দিয়েছে অভ্যুত্থানবিরোধী র্যালিতে।
রাজধানী নেপিদো, বাণিজ্যিক নগরী ইয়াঙ্গুন ও মান্দালয়ে বড় বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের রাজ্যগুলোতেও সাধ্যমতো বিক্ষোভের আয়োজন করেছেন বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সদস্যরা।
১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর ধীরে ধীরে মানুষ সেনা শাসনবিরোধী ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে। বিক্ষোভের ৬ষ্ঠ দিন বৃহস্পতিবার হাজারো মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছে ইয়াঙ্গুন, মান্দালয় ও নেপিদোসহ বড় শহরগুলোতে। দিন দিন বাড়ছে অভিনব প্রতিবাদও।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় দাওয়েই শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বিক্ষুব্ধ মানুষ সেনাপ্রধান অং মিন হ্লাইংয়ের ছবি পায়ে মাড়িয়ে নিজেদের ক্ষোভ ঝাড়েন। প্রতিবাদীরা স্লোগান দেন ‘আমাদের ভোটের সম্মান চাই’ ‘অভ্যুত্থানকে না বলুন’।
প্রতিবাদ বিক্ষোভ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নও। বৃহস্পতিবার অন্তত ২০০ রাজনৈতিক নেতা ও মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে জান্তা বাহিনী। এনএলডির নেতাদের খুঁজে খুঁজে গ্রেফতার করা হচ্ছে। সু চির শীর্ষ সহযোগী কিয়াও টিন্ট সোয়েকে-সহ অন্তত ছয় এনএলডি নেতাকে গ্রেফতার করেছে জান্তা।
এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) মিয়ানমার পুলিশকে বিক্ষোভ দমন ও মানুষের জমায়েত ভেঙে দেয়ার প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। বিভিন্ন ফুটেজে দেখা যায়, এক সময় ইইউর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া পুলিশ কর্মকর্তা অভ্যুত্থানবিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভে দমন-পীড়ন চালাচ্ছেন।