সংশোধিত সংবিধানে বানানে ১২৫টি অসংগতি
বাংলাদেশের সংবিধানের সবশেষ সংশোধনীতে বানানে ১২৫টি অসংগতি পাওয়া গেছে। যে সংবিধানের দাড়ি-কমা পাল্টাতে হলে জাতীয় সংসদে সংশোধনী আনতে হয়, সেই সংবিধানে এমন অসংগতিতে অসন্তোষ জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
‘এ নিয়ে কমিটির বৈঠকে এজেন্ডা তোলা হবে’, বলে জানিয়েছেন আইন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান নিজ হাতে লেখেন তৎকালীন তথ্য কর্মকর্তা আব্দুর রউফ। এই সংবিধানের এ পর্যন্ত ১৭ বার সংশোধনী আনা হয়েছে।
সর্বশেষ সংশোধনীসহ ২০১৬ সালের এপ্রিলে মূদ্রিত সংস্করণে মূল সংবিধানের চেয়ে ১২৫টির বেশি বানানে অসংগতি পাওয়া গেছে।
অসংগতিগুলোর কয়েকটি হলো- সূচিপত্রে ‘রাষ্ট্রপরিচালনা’ শব্দটির মাঝখানে স্পেস থাকলেও মূল সংবিধানে তা নেই। প্রস্তাবনার চতুর্থ অনুচ্ছেদে আকাঙ্খা শব্দে ঙ-খ দিয়ে লেখা হলেও ৭২ এর সংবিধানে তা ছিল ঙ-ক্ষ। ৯৫ নম্বর অনুচ্ছেদে ২ নম্বর দফায় অ্যাডভোকেট শব্দের শুরুর বর্ণও পাল্টে ফেলা হয়েছে। বাধ্যবাধকতা শব্দটি চার জায়গায় লেখা হয়েছে চার রকমে। এ ছাড়া, যত্রতত্র রয়েছে ড্যাশ ও হাইফেনের ব্যবহার।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বাংলা একাডেমির সাথে সংগতি রাখতে গিয়ে, সংবিধানে এমন বানান অসংগতি হতে পারে।’
তবে আইন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বললেন, ‘সংবিধান ছাপানোতে এমন ভুল করা ঠিক হয়নি। পরবর্তী বৈঠকে তিনি এটি এজেন্ডা আকারে তুলবেন।
সংবিধানের যে কোনো লাইনে দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন পরিবর্তন করতে হলেও তা জাতীয় সংসদের মাধ্যমে সংশোনী এনে করতে হয়। কেননা সংবিধান হলো সব আইনের ঊর্ধ্বে।