কঠোর অবস্থানে জান্তা সরকার, বিক্ষোভে ২০ বছরের জেল
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশটির সেনা সরকার। দায়িত্ব পালনে নিরাপত্তা বাহিনীকে বাধা দিলে ৭ বছরের জেল দেয়া হবে। এছাড়াও প্রকাশ্যে বিশৃঙ্খলা ও জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করলে হবে তিন বছর জেল। এভাবে সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানার আইন করেছে সেনাশাসকেরা।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কথা, লেখা ও বলার মাধ্যমে বা কোনো কিছু স্বাক্ষর করে বা দৃশ্যমান উপস্থাপনার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রচার করা হলে দীর্ঘ সময়ের জন্য জেল-জরিমানা দেওয়া হবে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। গ্রেফতার করা হয় নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন দল এনএলডির শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রীদের।
এর পর এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াং।
এরপর থেকে রাজধানী নেইপিদোসহ দেশজুড়ে টানা বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে জনতা। এক দশকেরও বেশি সময়ের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ দেখে মিয়ানমার।
বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দী নির্বাচিত নেতা অং সান সু চি-র মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনর্বহালের দাবি করছেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান, রাবার বুলেট ও গুলি চালালে বিক্ষোভ আরও বড় আকার নেয়। এ পরিস্থিতিতে অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশটির সেনা সরকার।