টলিউডে রুদ্রনীলকে নিষিদ্ধ করার দাবি সোহমের
বিজেপিতে যোগদান করা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন আরেক অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। সোহম অবশ্য তৃণমূলের যুবনেতাও।
রুদ্রনীল বিজেপিতে গিয়ে টলিউডে মাফিয়ারাজের অভিযোগ তোলার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিষিদ্ধ করা উচিত বলে জানান সোহম।
বৃহস্পতিবার বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে রুদ্রনীল সরাসরি অভিযোগ করেন, যত কলাকুশলী দরকার, তার চেয়ে দ্বিগুণ লোক নিতে বলা হচ্ছে। প্রযোজকদের গলায় বন্দুক ঠেকিয়ে এই নিয়ম মানতে বাধ্য করা হচ্ছে। অতিরিক্ত লোকজন বসে বসে টাকা নিচ্ছেন। তার দাবি ছিল, টলিউডে ‘মাফিয়ারাজ’ চলছে।
কিন্তু তারই ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মী সোহম জানান, তিনি রুদ্রনীলের ওই কথা মানছেন না। তার দাবি, আমি চাই এই মন্তব্যের জন্য রুদ্রনীলকে এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিষিদ্ধ করা হোক।
সোহম বলেন, রুদ্রনীল যে ওই কথাটা বললেন, তিনি কি ভুলে গেছেন, যে করোনার সময়ে কত কত মানুষ খেতে পাননি? একটা গোটা ইন্ডাস্ট্রির মুখ চেয়ে বসেছিলেন কত লাখ মানুষ! তাদের কর্মসংস্থানের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। যাতে মানুষ কিছু রোজগার করতে পারে। আমি, রুদ্রনীল-আমরা তো একটা করে ভ্যানিটি ভ্যান পাই। কিন্তু ওই মানুষগুলো? তাদের মুখ থেকে সেটুকু অন্নও কেড়ে নিতে চান রুদ্রনীল? এভাবে আসলে তাদেরই অপমান করা হচ্ছে। নিষিদ্ধকরণ তো বটেই। সোহম চান, টলিউডের কর্মীরা রুদ্রনীলের মন্তব্যের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে প্রতিবাদ জানান। সবাই বলুন, রুদ্রনীল যতক্ষণ সেটে থাকবেন, ততক্ষণ কেউ কাজ করবেন না।
রুদ্রনীলের কাছে সোহমের প্রশ্ন, এত দিন ধরে যদি তার এত সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে আগে কেন বলেননি? বিরোধী শিবিরে গিয়ে এখন তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন কেন? ক্ষুব্ধ গলায় সোহম বলছেন, আর মাফিয়ারাজ? সেটা তো বিজেপি করছে! ক্ষমতায় না এসেই সায়নী ঘোষ, দেবলীনা দত্তের মতো অনেক নারীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে!
তৃণমূলের অঘোষিত দুই নম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন যুব তৃণমূলের পদাধিকারী সোহম বলছেন, রুদ্রনীলকে তো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মামনি’ বলে ডাকতে শুনেছি আমি। যেই বিজেপিতে গেলেন, অমনি মায়ের নামে খারাপ কথা বলতে শুরু করলেন? আমি তো স্বপ্নেও ভাবতে পারি না! বসে বসে মাসে ৩ লাখ টাকা পেয়ে তাহলে কী করলেন রুদ্রনীল?