ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ছোট ছোট নেতাদের টোপ দিচ্ছে সেনাবাহিনী
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ‘বিভক্তি ও শাসন’ নীতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী তাতমাদো। বিভিন্ন দল ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিভক্তির জাল ফেলে সেনাবিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হ্রাস করতে বিভিন্ন মানুষকে পক্ষে টানছে সেনারা। দিচ্ছে নানা সুবিধার টোপ।
সরকারি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতাদের হাত করে ক্ষমতায় জেঁকে বসার এ চেষ্টায় নেতাদের সাড়াকে ভালোভাবে নিচ্ছে না নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সদস্য ও রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী-সমর্থক। তারা একে বিশ্বাসঘাতকতা হিসাবে দেখছেন। আল-জাজিরা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি জান্তা ক্ষমতা নেয়ার পর যেভাবে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও অভ্যন্তরীণ চাপের মুখে পড়েছে, তা নজিরবিহীন। আগের প্রায় ৫০ বছরের সেনা শাসনের সময়ের চেয়ে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। এ কারণে রাজনৈতিক দল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রভাবশালী মানুষকে নিজেদের পক্ষে ভেড়াতে চাচ্ছে সেনারা। অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল (এসএসি) গঠন করে জান্তা। এর প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং।
সেনাবিরোধী বিক্ষোভ দমাতে এসএসিতে প্রভাবশালীদের পদ দেয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে সেনাবাহিনী। অনেকে এতে যোগ দিচ্ছেন। আবার অনেকে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিচ্ছেন। ফিরিয়ে দেয়া সাধারণ মানুষের বাহবা পাচ্ছেন এবং যোগ দেয়া ব্যক্তিরা বিশ্বাসঘাতকতার তকমা পাচ্ছেন।
আইইয়ারওয়াদি কেন্দ্রীয় এলাকার কারেন ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর যুবক সাও মু দাও বলেন, এক সময় যে দলকে সমর্থন করতেন সেটিকে এখন বিশ্বাসঘাতক মনে করছেন তিনি। গত নভেম্বরের নির্বাচনের আগে কেইন পিপলস পার্টির প্রার্থী মাহন নেইং মুংয়ের জন্য ভোট চেয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে গেছেন। মুং তখন জয়ী হতে পারেননি। কিন্তু তিনি এখন সামরিক বাহিনীর এসএসিতে যোগ দিয়েছেন। সামরিক প্রশাসনে (এসএসি) তার যোগ দেওয়া আমি ও আমার বন্ধু মেনে নিতে পারিনি বলেও জানান তিনি।