করোনাভাইরাসের টিকা নিচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটাররা
২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে নিউ জিল্যান্ড যাবে জাতীয় ক্রিকেট দল। বৃহস্পতিবার থেকে ক্রিকেটারদের করোনা টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তামিম, সৌম্য, মিরাজরা আজ টিকা গ্রহণ করেছেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। টিকা নেওয়ার পর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তামিম বলেন,‘জিনিসটা (করোনা টিকা) তো আসলে এখন প্রয়োজনীয় হয়ে গেছে আমাদের নিজের শরীরের জন্য। এটা অনেক উৎসাহিত করার মতো একটা জিনিস। যারা এটা মধ্যে সম্পৃক্ত আছেন তাদেরকে আমি আমার পক্ষ থেকে স্যালুট দেবো। পুরা জিনিসটা যেভাবে বাংলাদেশ সরকার করছে এটা আসলে উৎসাহিত করার মতোই।’‘দেখেন ভয় অবশ্যই ছিল, এটা অস্বীকার করব না। সবার মনেই থাকতে পারে। জিনিসটা নিয়ে যদি একটু জানা যায়, হয়তো জিনিসটা নিয়ে আপনাকে যখন কেউ বোঝাবে তখন আপনি জিনিসটা বুঝতে পারবেন।’ ‘যদি এটা নিয়ে আপনারা জানতে পারেন যে জিনিসটা আপনার জন্য কতটা হেল্পফুল তাহলে আমার কাছে মনে হয় ভয় জিনিসটা সবারই কমে যাবে। আমিও একজন ছিলাম অস্বীকার করব না। যখন প্রথম অ্যাপ্রোচ হয়েছিল তখন আমিও নিশ্চিন্ত ছিলাম না নিবো কি নেবো না। কিন্তু যখন এটা নিয়ে কথা বলেছে বিসিবি, বিভিন্নজন বুঝিয়েছে যে এই পার্শপ্রতিক্রিয়া হতে পারে । এটা দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে যে আমি নিতেই পারি।’
করোনা টিকা কার্যক্রমের প্রশংসা করে তামিম বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ধরণের নেতিবাচক কথাগুলো সবসময় তুলে ধরি কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে, ইতিবাচক জিনিসটা আমাদের শেয়ার করা উচিত। এত সুন্দরভাবে জিনিসটা হচ্ছে। আমার পরিবারের মানুষজন অনেকে নিয়েছে সবাই বেশ ভালোভাবেই নিয়েছে। এটি দারুণ একটি অভিজ্ঞতা। শুধু আমার জন্য নয়, আমার যারা বন্ধু-বান্ধব আছে, পরিবারের সদস্য যারা নিজে থেকে নিবন্ধন করে গেছে এবং নিয়েছে তাদেরও পুরা প্রক্রিয়াটা খুবই ভালো।’
করোনা টিকা পাওয়ায় বাংলাদেশকে ভাগ্যবান জানিয়ে তামিম আরো বলেন, ‘আমি অভিনন্দন জানাতে চাই যারা এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে। আমরা ভাগ্যবান যে আমরা এই জিনিসটা পাচ্ছি। আমরা যে প্রথম সারির দেশ বলি…অনেক দেশে কিন্তু এই পরিমাণ ভ্যাক্সিনেশন দেয়াই হয়নি সেখানে আমরা মোটামুটি ১২ নম্বর দেশ। এই মাসের শেষে এমনও হতে পারে যে সেরা ৪ বা ৫ এর ভেতরে এসে যাবো। এটা অনেক বিশাল একটা অর্জন আমি মনে করি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই জিনিসটা ভালোভাবে করে দিয়েছেন সবার জন্য।উনাকেও ধন্যবাদ।’