টানটান উত্তেজনার ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা
স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টোয়েন্টির দুই ম্যাচেই উত্তেজনার পারদে ঠাসা। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমটি দুই রানে। আর দ্বিতীয়ও শেষ ম্যাচে তিন উইকেটে জয় লাভ করে ২-০তে সিরিজ নিশ্চিত করে অতিথিরা। শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়ের নায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। তার দায়ীত্বশীলতার কারণে জয় লাভ করেছে শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন লঙ্কান এই নির্ভর যোগ্য ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ১২০ রান সংগ্রহ করে। টার্গেট দেখে মনে হয়েছে লঙ্কানরা সহজেই জিতে যাবে। মামুলি স্কোর নিয়েও লড়াই করেছে টাইগাররা। দুর্দান্ত বোলিং করে খেলা জমিয়ে দিয়েছেন টাইগাররা। শুরুতেই লঙ্কানদের উপর চেপে বসে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত বোলিং করে ৫০ রানে লঙ্কানদের টপঅর্ডার ছয় ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরায়। প্রথম সারির ছয় উইকেট হারিয়ে বিপদে সিংহলিরা। ১১.১ ওভারে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৫০রানে ৬ উইকেট। দুশ্চিন্তায় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল।
জিততে হলে শ্রীলঙ্কাকে শেষ ৫৩ বলে ৭০ রান করতে হবে। উইকেটে ছিলেন কুমার সাঙ্গাকারার মতো স্বনির্ভর যোগ্য ব্যাটসম্যান। মুলত তার কারণেই শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে নোঙ্গর ফেলে অতিথিরা। সপ্তম উইকেট জুটিতে থিসেরা প্যারেরাকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক ধকল সামাল দেন সাঙ্গাকারা। এই পার্টনারশিপে ৪৬ রান যোগ করে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। জয়ের জন্য ২০ বলে দরকার ২৫ রান।
এমন সময় রুবেল হোসেনের বলে ক্যাচ তুলে দেন কুমার সাঙ্গাকারা। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৮ বলে এক চার ও সমান ছয়ে ৩৮ রান করেন কুমার সাঙ্গাকারা। শেষ দিকে স্পিনার সেনানায়েককে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের দুয়ারে পৌঁছে দেন অলরাউন্ডার থিসেরা প্যারেরা। তার হার না মানা ৩৫ রানের সুবাদে তিন উইকেটে জয় লাভ করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ দলের হয়ে দুই উইকেট নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
শুক্রবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। এদিন ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে টাইগাররা পুরো বিশ ওভার খেলা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ১৯.৫ ওভারে ১২০ রান সংগ্রহ করতেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন সাব্বির রহমান। ২৪ রান আসে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে। এছাড়া ১০ বলে ১৭ রান করেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। শ্রীলঙ্কার হয়ে তিন উইকেট নেন লাসিথ মালিঙ্গা। দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন সেনানায়েকে ও নুয়ান কুলাশেকারা।