দেশে অবৈধ ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনদেন থেমে নেই
মুদ্রাপাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের ঝুঁকি বিবেচনায় দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনদেন বেআইনি হলেও থেমে নেই এর ব্যবহার।
সম্প্রতি ধরা পড়েছেন ক্রিপ্টোকারেন্সি চক্রের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মাহমুদুর রহমান জুয়েল। তার মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, ভার্চুয়াল মুদ্রা ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে লেনদেন করেছেন কয়েকজন নামকরা ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক। দুই-তিন বছর ধরে ব্লকচেইন, বিন্যান্স, কয়েন বেইজের মত অ্যাপ ব্যবহার করে যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে প্রায় এক লাখ ডলার লেনদেন করেন তিনি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ উপ কমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘লকচেইন এবং বিন্যান্সের মাধ্যমে তারা এই কার্যক্রমগুলো করে থাকে। তাদের দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টস আমরা পেয়েছি এবং এই অ্যাকাউন্টসের মাধ্যমে তাদের লেনদেন আমরা পেয়েছি। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা বাকিদেরকে ধরার চেষ্টা করছি।’
উল্লেখ্য, ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন হয়ে থাকে ইন্টারনেটে, অ্যাপসের মাধ্যমে। পরিচয় গোপন রেখে কেনাবেচা করা যায় এই ভার্চুয়াল মুদ্রায়। তদারকিতে থাকে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মত কোনো নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।
বিটকয়েন, ইথারিয়াম, টেথার, রিপল, পলকাডট ও কারডানোসহ অনেকগুলো ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু রয়েছে। পৃথিবীর অনেকে দেশে বৈধ হলেও ঝুঁকি বিবেচনায় বাংলাদেশে ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার বেআইনি।