ঘুরে আসুন রাতারগুল
সিলেটের স্থানীয় ভাষায় পাটি গাছ ‘রাতা গাছ’ নামে পরিচিত। এর নামানুসারে বনটির নাম রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট। এর আয়তন প্রায় ৩ হাজার ৩২৫ একর। এখানে সবচেয়ে বেশি জন্মায় করচ গাছ। বনে অথৈ জল থাকে চার মাস। তখন কাচের মতো মসৃণ নিথর জলে গাছের ডালপালার প্রতিবিম্ব দারুণ উপভোগ্য। সবুজ জলের ওপর নীল আকাশ। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে করচসহ জালিবেত, কদম, হিজল, মূর্তাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। মিঠা পানির অপরূপ জলাবনটির ওয়াচ টাওয়ারে দাঁড়িয়ে মেঘালয়ের পাহাড় চমৎকার লাগে। বনের ৮০ শতাংশ এলাকাই গাছ দিয়ে ভরা। বিশাল এ বনে রয়েছে জলসহিষ্ণু প্রায় ২৫ প্রজাতির গাছ। অপরূপ জলাবনের সৌন্দর্য দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরা।
জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যটিতে বেড়াতে যাওয়া ভ্রমণপিপাসুদের জন্য নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। এখন থেকে রাতারগুলে পেশাদার ক্যামেরায় শুটিং করলে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা গুনতে হবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রাপ্তবয়স্ক প্রবেশমূল্য: ৫০ টাকা, ১২ বছরের নিচে: ২৫ টাকা, শিক্ষার্থী: ২৫ টাকা, বিদেশি পর্যটক: ৫০০ টাকা, নৌকা ভাড়া প্রতিবার: ১০০ টাকা, বিদেশিদের পর্যটক: ১০০০ টাকা, বাস বা ট্রাক পার্কিং : ২০০ টাকা, পিকআপ/জিপ/কার/মাইক্রোবাস: ১০০ টাকা, মোটরসাইকেল/সিএনজি: ২৫ টাকা
যেভাবে রাতারগুল যাবেন: যেকোনো বাসেই যাওয়া যায় সিলেটে। জনপ্রতি ভাড়া ৪৫০-৫০০ টাকা। শহর থেকে সারাদিনের জন্য সিএনজি ঠিক করে নিতে পারেন। ভাড়া পড়বে ১৫০০ টাকার মতো। সিএনজিতে দু’পাশে সারি সারি চা বাগানের অনন্য সৌন্দর্য দেখে রাতারগুল ঘাটে পৌঁছাতে ৪০ মিনিট লাগে। ঘাটে ডিঙি নৌকা ভাড়া করে নিতে হবে। সরকার নির্ধারিত নৌকা ভাড়া ৭৫০ টাকা হলেও মাঝিরা বেশি নেয়। রাতারগুল ক্যাম্পিং সাইট থেকে নৌকা কিংবা কায়াকিং করে যাওয়া যায় জলাবনে।