আস্থা ভোটে জয়ী হলেন ইরমান খান
৩৪২ সদস্যের পার্লামেন্টের লোয়ার হাউসে ১৭৮ ভোট পেয়ে জয়ী হলেন ইরমান খান। সরকার বাঁচাতে পার্লামেন্টে তার দরকার ছিল ১৭২ ভোট। সেখানে ৬ ভোট বেশি পেয়ে নিজেরে এবং সরকারের অবস্থান দৃঢ় করেছেন ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসা পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই)। আস্থা ভোটের ফল প্রকাশ করে স্পিকার বলেন, আট বছর আগে ১৭৬ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন ইমরান খান। সিনেট নির্বাচনে ইমরান খানের অর্থমন্ত্রী আবুদল হাফিজ শেখ পরাজিত হয়েছিলেন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান পিপল’স পার্টির নেতা ইউসুফ রাজা গিলানির কাছে।
শুক্রবারের ফ্লোর টেস্ট বিরোধী পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট আস্থা ভোট বয়কট করে। এদিন রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির নির্দেশে বিশেষ জাতীয় সংসদ (এনএ) অধিবেশন ডাকা হয়। ইমরান খান একটি টেলিভিশন ভাষণে বলেন, “আগামীকাল (শনিবার) আমি আস্থা ভোট গ্রহণ করব। আমি জানতে চাই আমার সদস্যদের আমার প্রতি আস্থা রয়েছে কিনা। তারা যদি বলেন যে তাদের কোনও আস্থা নেই, তবে আমি বিরোধী দলের বেঞ্চে বসব। আমি যদি সরকার থেকে বেরিয়া যাই তবে আমি জনগণের কাছে যাব এবং দেশের জন্য আমার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে তাদের সঙ্গে থাকব। আমি এই বিশ্বাসঘাতকদের (যারা দেশকে লুণ্ঠন করেছিল) শান্তিতে থাকতে দেব না। আমি তাদের বিশ্বাসঘাতক বলছি কারণ তারা লুট করেছে।