কমিউনিস্টদের হত্যার নির্দেশ দিলেন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগ্রো দুতার্তে
কমিউনিস্ট বিদ্রোহীদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগ্রো দুতার্তে। তিনি কমিউনিস্টদের হত্যা করে শেষ করে দিতে চান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এমন নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। তাঁর এই নির্দেশের পর দেশটিতে মাদকবিরোধী অভিযানের সময়ের মতো সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফিলিপাইনে সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৮ সাল থেকে লড়াই করে আসছে কমিউনিস্টরা। দেশটির সেনাবাহিনীর হিসাব অনুযায়ী, এই বিদ্রোহে ৫৩ বছরে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সভায় দুতার্তে বলেন, ‘আমি সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে বলেছি, যদি কখনো কমিউনিস্ট বিদ্রোহীদের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়, তবে তাদের হত্যা করো। এরপর নিশ্চিত হও যাকে গুলি করা হয়েছে তার মৃত্যু হয়েছে কি না। যদি মৃত্যু না হয়ে থাকে তবে সেখানেই তাকে হত্যা করো। তবে শুধু এটা নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের মরদেহগুলো যেন পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট ফিলিপাইনের সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে শান্তি চুক্তির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। বিদ্রোহীদের নেতা জোস মারিয়া সিসন এখন নেদারল্যান্ডসে স্বেচ্ছানির্বাসনে রয়েছেন। কমিউনিস্ট বিদ্রোহীদের হত্যার জন্য মাথাপিছু পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দুতার্তে।ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলের মিনদানাও দ্বীপে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে দুতার্তে বলেন, ‘মানবাধিকারের কথা ভুলে যান। এটা আমার নির্দেশ। আমি জেলে যেতে প্রস্তুত। সেটা কোনো সমস্যা নয়। কমিউনিস্টদের হত্যার নির্দেশ নিয়ে আমরা মনে কোনো দ্বিধা নেই।’
কমিউনিস্ট বিদ্রোহীদের সরাসরি উদ্দেশ করে দুতার্তে বলেন, ‘তোমরা সবাই ডাকাত। তোমাদের কোনো আদর্শ নেই। চীন ও রাশিয়া সবাই এখন পুঁজিবাদী।’ এসব কথা বলার পর দুতার্তে অস্ত্র সমর্পণ করলে তাদের চাকরি ও বাসস্থানের সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় দুতার্তে শান্তি আলোচনার মাধ্যমে বিদ্রোহ অবসানের প্রতিশ্রুতি দেন। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে সেনাবাহিনী ও কমিউনিস্ট বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাড়তে থাকে। ২০১৭ সালে সরকারি বাহিনী ও কমিউনিস্ট বিদ্রোহীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ হয়। দুতার্তে সে সময় শান্তি আলোচনা বাতিল করেন। পরে তিনি কমিউনিস্ট বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে প্রজ্ঞাপনে সই করেন।