দেশের অনুকূল পরিবেশ বর্হিবিশ্বে তুলে ধরার নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বৈদেশিক বিনিয়োগ ও রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশের সকল বৈদেশিক দূতাবাসকে দেশের অনুকূল পরিবেশ বর্হিবিশ্বে তুলে ধরার নির্দেশনা দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বঙ্গবন্ধু রিসার্চ সেন্টার ফর ফরেন পলিসি এন্ড ডিপ্লোমেসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এ নির্দেশনা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির বিষয়টি সারা পৃথিবীকে তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, রপ্তানি বাড়াতে হবে।
ড. মোমেন বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সবার অধ্যয়ন ও বিশ্লেষণ করা উচিত। স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
তিনি বলেন, এ বছরের বড় অর্জন এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ। জাতির পিতার বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বাঙালিরা এবং বাংলাদেশ সবসময় সর্বাগ্রে ছিল। এই বঙ্গভূমে ১৪৩৮ সালে চন্ডীদাস মানবতার জয়গান গেয়েছেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার চেতনার যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তারা অধিকাংশই এই বঙ্গভূমের।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আলোচক হিসেবে ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এবং পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সেমিনারে সূচনা বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার।
সকাল ৯টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে ড. মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে এ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা বিবেদন করেন