বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অভিনেতা শাহীন আলম
ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা চিত্রনায়ক শাহীন আলম মারা গেছেন। সোমবার (০৮ মার্চ) রাত ১০ টা ৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টায় তার মরদেহ রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা ও চলচ্চিত্রের বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বাদ ফজর নিকেতন মসজিদে তার নামাজে জানাজা হয়।
শাহীন আলমের ছেলে ফাহিম আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকালে শাহীন আলমের মরদেহ তার ভাইয়ের কবরে দাফনের জন্য বনানী কবরাস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু মেয়রের অনুমতির জন্য সংশ্লিষ্টরা মরদেহ দাফনে বাধা দেন। এ জন্য কিছু সময় কবরস্থানের সামনে অবস্থান করতে হয়েছে মরদেহ নিয়ে। পরে জটিলতা কাটিয়ে সুষ্ঠুভাবেই দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় বাবার জন্য সকলের দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।
এর আগে গত সপ্তাহে তাকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬ মার্চ থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন অভিনেতা শাহীন আলম।
শাহীন আলমের ছেলে ফাহিম নূর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগে থেকে বাবা কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। গত সোমবার তার জ্বর আসে। আর শনিবার তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
১৯৮৬ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান শাহীন আলম। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘মায়ের কান্না’ ১৯৯১ সালে মুক্তি পায়। এর পরে আরো অনেক সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ঘাটের মাঝি, এক পলকে, গরিবের সংসার, তেজী, চাঁদাবাজ, প্রেম প্রতিশোধ, টাইগার, রাগ-অনুরাগ, দাগী সন্তান, বাঘা-বাঘিনী, আলিফ লায়লা, স্বপ্নের নায়ক, আঞ্জুমান, অজানা শত্রু, দেশদ্রোহী, প্রেম দিওয়ানা, আমার মা, পাগলা বাবুল, শক্তির লড়াই, দলপতি, পাপী সন্তান, ঢাকাইয়া মাস্তান, বিগবস, বাবা ও বাঘের বাচ্চা।