বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Monday, December 23, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » বুড়িগঙ্গার দূষণ রোধে ছয় মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

বুড়িগঙ্গার দূষণ রোধে ছয় মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের 

213044kalerkantho_pic

বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন ভবন বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পয়ঃপ্রণালি লাইন বা সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করে পয়ঃবর্জ্য নিঃসরণের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে এ ব্যবস্থা নিতে ঢাকা ওয়াসাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ভবন/ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভবন মালিক বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সকলকে সতর্ক করে এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে নোটিশ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাইকিং করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। বুড়িগঙ্গা নদী দূষণরোধে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক রিট মামলায় এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। রিট আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। ঢাকা ওয়াসার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট উম্মে সালমা, রাজউকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম।

মঙ্গলবার আদালত রাজউকের প্রতি ৭ দফা নির্দেশনা দেন। এগুলো হলো সেপটিক ট্যাংক/পয়ঃলাইন না থাকলে কোন লে-আউট প্ল্যান অনুমোদন দেওয়া যাবে না, সেপটিক ট্যাংক না থাকলে ভবনের দখলদারিত্বের সনদ দেওয়া যাবে না, আইন ভঙ্গ করে কাজ করলে ভবন নির্মাণ আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, ৩ থেকে ৬ মাসের নোটিশ দিয়ে ভবনে পয়ঃপানি শোধনের ব্যবস্থা নতুবা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, পরবর্তীতে তৈরিকৃত সেপটিক ট্যাংক মূল নকশার অংশ বিবেচিত হবে, নোটিশের পর কোনো ভবন মালিক নকশা সংশোধন না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং ১৫ দিনের মধ্যে প্রথম অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে ও পরে প্রতি ৩ মাসে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

এইচআরপিবি’র করা রিট মামলায় হাইকোর্ট ২০১১ সালে এক রায়ে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। এ ছাড়া নদীর পানি যাতে দূষিত না হয় সেজন্য সব ধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ওয়াসার সুয়ারেজ লাইনের মাধ্যমে তরল বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে। যা নদীর পানিকে দূষিত করছে। বিষয়টি এইচআরপিবি’র পক্ষ থেকে আদালতের নজরে আনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সময়ে সময়ে আদেশ দিচ্ছেন।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone