মমতার ওপর হামলা, পায়ে গুরুতর চোট
নন্দীগ্রামে ভোটের প্রচারে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এ কারণে সফর সংক্ষিপ্ত করে দ্রুত তাঁকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয় । খবর এনডিটিভির। নিজের নির্বাচনী আসন নন্দীগ্রামে ‘হুড়োহুড়িতে’ পড়ে গিয়ে আহত হন মমতা। বাম পায়ের গোড়ালির হাড়ে গুরুতর আঘাত পান তিনি। তার পায়ের পাতা, ডান হাত, গলা ও ডান পাশের কাঁধেও চোট রয়েছে। বর্তমানে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
গতকাল বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নন্দীগ্রামের কয়েকটি মন্দির পরিদর্শনে যান তিনি। সন্ধ্যায় রেয়াপাড়ায় রানিচকের একটি মন্দির থেকে বেরিয়ে আসার সময় ভিড়ের মধ্য থেকে তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয়। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রেয়াপাড়ায় একটি মন্দির থেকে বেরিয়ে আসার সময় অজ্ঞাতপরিচয় চার-পাঁচজনের একটি দল ঘিরে ধরে মমতাকে। এ সময় তাঁকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় তারা। ঘটনার পরপরই দেহরক্ষীরা মমতাকে টেনে তুলে গাড়িতে ওঠান। পরে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে গাড়িটি। তবে এর আগেই উপস্থিত সাংবাদিকদের আঘাতের চিহ্ন দেখান মমতা। অভিযোগ করেন, ‘হামলার সময় পুলিশের কেউ ঘটনাস্থলে ছিল না।’
আসন্ন বিধানসভার নির্বাচনী প্রচারে নন্দীগ্রামে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক কথা চালাচালি শুরু হয়েছে। ঘটনার পর মমতার দাবি, তাঁর ওপর ‘ষড়যন্ত্র ও হামলা’ হয়েছে। অন্যদিকে দেশটির শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতারা বলছেন, ‘দুর্ঘটনাকে হামলা বলে চালিয়ে দিতে চাইছেন মমতা। ভোটের আগে এটা তাঁর সহানুভূতি আদায়ের নাটক।’ খবর এনডিটিভির।