জিএসপি বাতিলে বাণিজ্যিক যুক্তির চেয়ে রাজনীতি বেশি : মেনন
এইদেশ এইসময়, ঢাকা : আমেরিকায় বাংলাদেশী পণ্যে বাণিজ্যিক অগ্রাধিকার সুবিধা (জিএসপি) বাতিলে বাণিজ্যিক যুক্তির চেয়ে রাজনীতি অনেক বেশি বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, “জিএসপি বাতিলে যখন নির্বাচন আর ড. ইউনূস প্রসঙ্গ আসে, তখন সেটা আর বাণিজ্যিক থাকে না।”
শনিবার সন্ধা রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংলাপের এ পর্বে প্যানেল আলোচক হিসেবে আরো ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা ওয়াহিদ।
আমেরিকায় জিএসপি সুবিধা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত সে দেশের রাষ্ট্রদূত যিনি রয়েছেন, তিনি তো এ দেশের সবচেয়ে বড় রাজনীতিবিদ। তিনি সকালে বিমানের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সবাইকে পেছনে রেখে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। আর বিকেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেন, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের খারাপ সম্পর্ক যাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক ইনইক্যুয়াল।”
আমেরিকায় বাংলাদেশী পণ্যে জিএসপি বাতিলে খুব বেশি ক্ষতি হবে না মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “আমেরিকার শর্ত মেনেই যদি চলতে হবে, তাহলে আমাদের স্বাধীনতা কেন ?
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন বলেন, “জিএসপি বাতিলে বাণিজ্যক যুক্তির চেয়ে রাজনৈতিক যুক্তি অনেক বেশি। এর পরও আমরা তাদের দেয়া অনেকগুলো শর্ত পূরণ করেছি। কিন্তু তাদের সেই শর্তের সঙ্গে যখন বাংলাদেশের নির্বাচন ও ড. ইউনূসের ইস্যু আসে, তখন সেটা আর বাণিজ্যিক শর্ত থাকে না।
মেননের কথার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে আ স ম হান্নান শাহ বলেন, আমি মন্ত্রীর কথার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি। কারণ, যদি জিএসপির প্রভাব না থাকে, তাহলে আমরা কেন তাদের এতগুলো শর্ত পূরণ করলাম ?
এ বিষয়ে মইনুল হোসেন বলেন, রাজনীতি আর অর্থনীতি আলাদা নয়। আমরা সবকিছুতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে আসি। এতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছোট করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে আমরা দেশের গণতন্ত্রকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছি। নিজের স্বার্থেই আমাদের সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে। আজ মার্কিনদের সঙ্গে সম্পর্কের কথায় কেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আসবে?”
অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেন ওয়ালিউর রহমান মিরাজ, উপস্থাপনা করেন আকবর হোসেন।