বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Monday, December 23, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » ‘মশা নিধন কার্যক্রম মনিটরিং করাটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ’

‘মশা নিধন কার্যক্রম মনিটরিং করাটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ’ 

195327425356

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মশা নিধন কার্যক্রম মনিটরিং করাটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য রমজানের পরে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মশক নিধন কর্মীদের হাজিরা নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি জানান। এছাড়া আধুনিক ইন্টারনেট অব থিং (আইওটি) এর মতো তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন মেয়র। আতিকুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১০টায় গুলশান বাড্ডা লিংক রোডের গুদারাঘাটে চলমান মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন।

কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত সোমবার শুরু হওয়া ডিএনসিসির অঞ্চল ভিত্তিক সমন্বিত অভিযান (ক্রাশ প্রোগ্রাম) আজ বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনে অব্যাহত ছিলো। আজ মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) এ অভিযান পরিচালিত হয়। গুদারাঘাট এলাকা পরিদর্শন শেষে মেয়র বনানী ১ নম্বর রোডে ন্যাম ভিলেজের পিছনে চেয়ারম্যান বাড়ি লেক পরিদর্শন করেন।

গুদারাঘাটে আতিকুল ইসলাম আরো বলেন, “লেকের কিনারে মশা ডিম পাড়ে। আজকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি লেকের কিনারে যাতে লার্ভিসাইড করা হয়। পানির প্রবাহ ঠিক থাকলে সে পানিতে লার্ভা জন্ম হয় না। এই যে গুলশান, বারিধারা, বনানী, লেকে আগে প্রচুর কচুরিপানা ছিল, এগুলো আমরা পরিষ্কার করেছি। এই লেকগুলো সিটি করপোরেশনকে দিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি। এগুলো আমাদেরকে দিলে এগুলোর দেখ-ভাল আমরা করতে পারি। লেকগুলোকে কচুরিপানামুক্ত দৃষ্টিনন্দন কিন্তু আমরাই করেছি। এখানে আবর্জনার পাহাড় ছিল।”

গুদারাঘাটে মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে মেয়র দেখতে পান যে, ফুটপাত দখল করে দুটি হোটেল ব্যবসা করছে। ফুটপাত থেকে এসকল অবৈধ স্থাপনা তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করার নির্দেশ দেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বিকাল ৫টায় গুলশান ৫৫ নম্বর সড়কে মশক নিধন অভিযান পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বলেন, “এই যে সমস্ত অঞ্চল থেকে মশক নিধনকর্মীদের একটি অঞ্চলে নিয়ে আসছি। এখানে ১ হাজার ২০০ মশক নিধনকর্মী ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা করছে। এটা একটি বিষয়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে মশক কর্মীদের ট্রেনিং দিতে হবে। যাতে তারা কাজটি ভালোভাবে, কার্যকরভাবে করতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভিতরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এই শহরটা ঠিক করার জন্য আমরা সবাই একসাথে কাজ করব এবং সবাই যদি একটু একটু করে কাজ করে আমরা কিন্তু মশক থেকে অনেক অংশে নিস্তার পাব।”

আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। আজকের অভিযানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুম গনি তাপস উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone