বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Monday, December 23, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » বিনোদন » আপত্তিকর অবস্থায় ফেলে ব্ল্যাকমেইল করতেন রোমানা স্বর্ণা!

আপত্তিকর অবস্থায় ফেলে ব্ল্যাকমেইল করতেন রোমানা স্বর্ণা! 

11490588218253_1258559094348319_4309848318298554368_n

নিত্য নতুন প্রতারণার মাধ্যমে এক সৌদি প্রবাসীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের মামলায় মডেল ও অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম স্বর্ণাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় তাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মৃত্যুঞ্জয় দে সজল। পুলিশ বলছে রোমানা স্বর্ণা একাই নয় এরা একটি প্রতারক চক্র। সম্মিলিতভাবে এই চক্র প্রতারণা করে আসছে।

প্রতারণার শিকার কামরুল হাসান জুয়েল দুই কোটির বেশি টাকা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে গণোমাধ্যম ও পুলিশকে বলেছেন।

কামরুল হাসান জুয়েল বলেন,  আমার খালাতো ভাইয়ের মাধ্যমকে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার এক পর্যায়ে সে ফেসবুকে আমাকে অ্যাড করে। সে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে। সে বলে আমার মা’কে নিয়ে আমি অসহায় অবস্থায় আছি। আমার একটা ছেলে আছে, লেখাপড়া করাতে পারিনা। মিডিয়াতে কাজ হয় না। এক কাজ করো আমাকে তুমি একটা উবার কিনে দাও, যেটা দিয়ে আমি চলুতে পারবো। আমি ১৮ লাখ টাকা দিয়ে উবার কিনে দেই। আমার সর্বমোট দুই কোটি টাকার মতো নিয়েছে।

kalerkantho

তবে পুলিশ জানায় অভিনেত্রী রোমানা স্বর্ণা একটি প্রতারকচক্রের হয়ে কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন। প্রথমে প্রেমর সম্পর্ক পরে হেনস্থার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে থাকে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপ পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ভুক্তভোগী জুয়েল যখন বিদেশ থেকে আসলো, তখন সে তার স্ত্রী মডেল, অভিনয় করে। তার বাড়িতে গেল। সেসময় এই প্রতারকচক্র করলো কি, তাকে আরো প্রতারণা করার জন্য উলঙ্গ করে ছবি তুললো। এরপর তাকে বললো তুমি যদি আরো টাকা না দাও তাহলে এই ছবি ফেসবুক ও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিব। সেই ভয়ে ভুক্তভোগী আরো কিছু টাকা দিলেন।’

অর্থাৎ বাসায় উলঙ্গ করে ব্ল্যাকমেইল করাই কাল হলো রোমানার স্বর্ণার। এমনটাই পুলিশের ভাষ্য।

তেজগাঁও জোনের এই পুলিশ কর্তা আরো জানান কামরুল হাসান জুয়েলের মতো প্রবাসী অনেকেই প্রেমের ফাঁদে পড়ে টাকা খোয়াচ্ছেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আশরাফি ইসলাম শেইলী (৬০), নাহিদ হাসান রেমি (৩৬), আন্নাফি (২০), ফারহা আহম্মেদ (৩০) ও অজ্ঞাত এক যুবক (৩৭)।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone