মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানো নিউজিল্যান্ডের দায়িত্ব ও কর্তব্য : প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন
শান্তির দেশ হিসেবে খ্যাত নিউজিল্যান্ড। মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানো নিউজিল্যান্ডের সব মানুষের কর্তব্য বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার দুই বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। শনিবার নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিহতের নাম পাঠ করা হয় এবং আকস্মিক ঘটনায় প্রথমে এগিয়ে আসা পুলিশ সদস্য ও চিকিৎসকদের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন মসজিদ হামলায় ভূক্তভোগী পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছিলেন। তাছাড়া নিউজিল্যান্ডে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে দ্রুততর সময়ে ব্যাপক উদ্যাগ গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, ‘সরকারের অনেক প্রশংসা করা হলেও তা এই ঘটনাকে কখনো পরিবর্তন করবে না। নারী, পুরুষ ও শিশুরা মূলত সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিলেন। এসব বাক্য মুসলিম সমাজের ভীতিকে এখনও দূর করেনি। আমাদের আরও অন্তর্ভূক্তিমূলক জাতি হতে হবে। তা আমাদের বৈচিত্রের জন্য গর্বের বিষয়। এটি আহ্বান করা হলে তা দৃঢ়তার সঙ্গে রক্ষা করবে।’
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদ ও লিনউড ইসলামিক সেন্টারে ব্রিন্টন টারান্ট ৫১ জন মুসল্লিকে হত্যা করে এবং আহত করে ১২ জনকে। হামলার পর বন্দুকধারী শ্বেতাঙ্গ যুবক ব্রিন্টন টারান্টকে আটক করা হয়। গত বছর আদালত এ ঘাতকের প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে এটিই প্রথম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।