আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত, ২০ দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু
দেশে আবার করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত আছে। গতকাল রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১৫৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। দৈনিক শনাক্তের হিসাবে গত আড়াই মাসের মধ্যে এটা সর্বোচ্চ। এ ছাড়া গত ২০ দিনের মধ্যে আবার সর্বোচ্চ মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে আরো ১৮ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য থেকে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
এর আগে সর্বশেষ গত ৩০ ডিসেম্বর দৈনিক শনাক্ত ছিল এক হাজার ২৩৫ জন। এরপর প্রতিদিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও মার্চের শুরু থেকে আবার বাড়তে থাকে। শনাক্তের হারও বেড়ে গতকাল উঠেছে ৭.১৫ শতাংশে। পরীক্ষা বিবেচনায় দৈনিক শনাক্তের হার ৪ জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। গত ৫ জানুয়ারি পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ছিল ৬.৮৫ শতাংশ। এরপর কমতে কমতে দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে গিয়েছিল।
অন্যদিকে সর্বশেষ গত ২৩ ফেব্রুয়ারির দৈনিক হিসাবে ১৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। গতকালের আগ পর্যন্ত মাঝের দিনগুলোতে মৃত্যুর সংখ্যা এর চেয়ে কম ছিল। অবশ্য সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও বেড়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৩৮৫ জন।
সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে মোট পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯৫ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে পাঁচ লাখ ১১ হাজার ৬৯৫ জন এবং মারা গেছে আট হাজার ৫৪৫ জন।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের তথ্য জানায় সরকার। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘোষণা আসে।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এর পর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে মার্চের শুরু থেকে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গতকাল পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী। যাদের একজন ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী, পাঁচজন ৫১ থেকে ৬০ বছরের, ১২ জন ষাটোর্ধ্ব বয়সের। এর মধ্যে ১০ জন ঢাকা বিভাগে, পাঁচজন চট্টগ্রাম বিভাগে, দুজন রাজশাহী বিভাগে এবং একজন বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন।