যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে বিক্ষোভ
কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির ও সহিংসতা প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা, সিডনী, মেলর্বোন ও ব্রিসবর্নসহ প্রায় ৪০টি শহরে স্থানীয় সময় সোমবার বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন হাজারো নারী। খবর বিবিসি। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টকে কেন্দ্র করে একাধিক যৌন নির্যাতনের ঘটনা জনসম্মুখে আসার পর এই বিক্ষোভ হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ভিতরে বা সংলগ্ন এলাকায় সম্প্রতি কয়েক দফা যৌন হয়রানি, ধর্ষণের অভিযোগের পর ক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। দেশের হর্তাকর্তা যারা, তাদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি বা ধর্ষণের অভিযোগে যেন জেগে উঠেছে পুরো দেশ। যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে তারা রক্ষণশীল সরকারের অংশ। এটর্নি জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান পোর্টার জানান, ১৯৮৮ সালের এক ধর্ষণ অভিযোগে তাকে জড়িত করা হয়েছে। এ অভিযোগ তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার এমন বক্তব্যের পর এক সপ্তাহ আগে এমন বিক্ষোভ আয়োজন করেন আয়োজকরা।খবর অনলাইন বিবিসি।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ভেতরে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বলে গত ফেব্রুয়ারিতে অভিযোগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ব্রিটানি হিগিনস। ২৬ বছর বয়সী সাবেক এই নারী উপদেষ্টার অভিযোগ, ২০১৯ সালে পার্লামেন্টের ভেতরে এক মন্ত্রীর অফিস কক্ষে সিনিয়র এক সহকর্মীর হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে খুব অল্প সহযোগিতাই পেয়েছিলেন তিনি এবং একপর্যায়ে তিনি নিজের চাকরি নিয়েও আতঙ্কিত ছিলেন। ব্রিটানি হিগিনসের এই গুরুতর অভিযোগের পর অস্ট্রেলিয়াজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পর হিগিনসের কাছে ক্ষমাও প্রার্থনা করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। কিন্তু চলমান বিক্ষোভের পেছনে এটাও একটা কারণ হিসেবে কাজ করছে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো। এদিকে সোমবার অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ব্রিটানি হিগিনসও। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে সেখানে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় নারীদের যৌন সহিংসতার শিকার হওয়াকে আমাদের সমাজে মেনে নেওয়ার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে।