মশক নিধনে গিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেন মেয়র আতিক
মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে খালের ওপর অবৈধভাবে নির্মিত একটি ভবনও উচ্ছেদ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে সমন্বিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনে যান মেয়র আতিক।
সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে কল্যাণ সমিতির সামনে মশক নিধন কর্মীদের মনিটরিংয়ের জন্য বায়োমেট্রিক ট্র্যাকার উদ্বোধন করেন। তারপর খিদির খাল এলাকা পরিদর্শনে বের হন।
উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর স্লুইচ গেটের কাছে পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র দেখতে পান খিদির খালের সংযোগ মাটি দিয়ে ভরাট করে সেখানে ‘সাফা টাওয়ার’ নামে প্রস্তাবিত একটি বহুতল মার্কেটের সেলস অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে খালের পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে স্থানটি কলাগাছ, কচুগাছ, আগাছা, জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে মশার প্রজননস্থলে পরিণত হয়েছে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন। বেলা ১টার মধ্যে ডিএনসিসির বুলডোজার দিয়ে এই অফিস এবং পার্শ্ববর্তী দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়।
অবৈধ স্থাপনাটি উচ্ছেদকালে মেয়র বলেন, ‘অবৈধভাবে নির্মিত কোনো স্থাপনা ভাঙতে কোনো ধরনের বৈধ নোটিশ দেওয়া হবে না। দখল করা এই স্থানটি পুরোটাই সিটি করপোরেশনের। এটি খালের ওপর। তারা কিভাবে এই জায়গাটি দখল করল। দুই পাশে খিদির খাল মাঝখানে এই জায়গা। এই যে খালের জায়গার ওপরে তারা ভবনটি তৈরি করল এতে কার লাভ হলো? অবৈধভাবে কোনো কিছুই দখল করে রাখা যাবে না।
উল্লেখ্য, কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ৮ মার্চ শুরু হওয়া ডিএনসিসির অঞ্চলভিত্তিক ক্রাশ প্রোগ্রামের আজ ছিল শেষ দিন। আগামীকাল থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে পূর্বের ন্যায় মশক নিধন অভিযান পরিচালিত হবে।
মেয়রের পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরিন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শরীফুর রহমান, মো. ফরিদ আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।