বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Tuesday, December 24, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায় না, তিনি চিরন্তন : তাপস

বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায় না, তিনি চিরন্তন : তাপস 

220857kalerkantho

বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায় না, তিনি চিরন্তন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বৃহস্পতিবার  সন্ধ্যায় নগর ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

শেখ তাপস বলেন, পঁচাত্তরের পরে বিভিন্ন চক্র এ দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আজকে প্রমাণিত, বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায় না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাঙালি জাতির অন্তরের অন্তঃস্থলে বাস করে। যিনি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, যিনি ইতিহাস রচনা করেছেন, তিনি চিরন্তন।

এ সময় স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে কেউ কেউ অযথা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ২৭শে মার্চ কেউ একজন বলে বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করেছেন যে স্বাধীনতা। সেই থেকে বলে স্বাধীনতা হয়ে গেছে! প্রথম কথা হলো, আমার মতো যে কোনো ব্যক্তি ঘোষণা দিলেই স্বাধীনতা হয়ে যায় না। সে স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য অধিকার লাগে, সে স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য নেতৃত্ব লাগে। সুতরাং যে কেউ বেতার কেন্দ্র থেকে কিছু পাঠ করলেই স্বাধীনতা হয়ে যায় না।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা অর্জনকারী প্রত্যেকটি জাতির স্বাধীনতার ঘোষণা (ডিক্লারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্স) লাগে, প্রোক্লামেশন অফ ইন্ডিপেন্ডেন্স লাগে, যেটা সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত হয়। সেই প্রোক্লামেশন অব ইনডিপেনডেন্স হয়েছিল, যখন ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়ছিল। সেই মুজিবনগর সরকারে তার কি অবস্থান ছিল? সেই প্রোক্লামেশন অব ইনডিপেনডেন্সে সেই বাণীটা কেনো আসলো না, তিনি সেই ব্যক্তি যে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন? প্রোক্লামেশন অব ইনডিপেন্ডেন্স গ্রহণের সময় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে আটক। কিন্তু প্রোক্লামেশন অব ইনডিপেনডেন্সে এসেছে, বঙ্গবন্ধু আটক হওয়ার আগেই ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য পর্বের পূর্বে ডিএসসিসির আওতাধীন হাসপাতাল ও মাতৃসদনে আজ জন্মগ্রহণকারী ২২ শিশুকে নাগরিক সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে অতিথিবৃন্দ ও উপস্থিত সকলে ডিএসসিসির সংগীত শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লেজার প্রদর্শনী ও বর্ণিল আতশবাজি উপভোগ করেন।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone