বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Wednesday, December 25, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » ‘মোদির আগমনের বিরোধিতা করা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা’

‘মোদির আগমনের বিরোধিতা করা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা’ 

111137141037mod

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বন্ধুপ্রতীম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যোগ দেওয়ার বিরোধিতাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা বলে মনে করে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কেন্দ্র-সিবিআইআর।

শুক্রবার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কেন্দ্রের পরিচালক শাহিদুল হাসান খোকনের সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিগুলো ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠছে।

এই অপশক্তিগুলো কেবল মুক্তিযুদ্ধের মহান চেতনাকেই নস্যাৎ করতে উদ্যত নয়, তারা বাংলাদেশেকে বন্ধুহীন বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করতেও অতিমাত্রায় সক্রিয়। সাম্প্রতিক সময়ে পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা ও বিভেদ সৃষ্টির এই অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে দেশের অসাম্প্রদায়িক-প্রগতিশীল মানুষদের মতো বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কেন্দ্র (সিবিআইআর) গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইতিহাসের যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বাঙালি জাতি যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অধীর অপেক্ষায় তখন এই অপচেষ্টাকারীরা পাকিস্তানের পরাজিত সেই শক্তির প্রতিভূ হয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে তৎপর। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আরো লক্ষ্য করছি, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষকে মহাসমারোহে উদযাপনে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি বানচালে একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছে। এই অপচেষ্টাকারীদের পুরোভাগে নেতৃত্ব দিচ্ছে কয়েকটি সংগঠন। এই সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে বিতর্কিত কর্মসূচি পালন করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে তৎপর ছিলো। এখন মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের প্রধান মিত্র চিরবন্ধুপ্রতীম ভারতের সঙ্গে বৈরিতা সৃষ্টির অপচেষ্টায় অতি সক্রিয়। আমরা গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রে অনুসন্ধানে জেনেছি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষে মদদেই এই সংগঠন ও ব্যক্তগিুলো অপচেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে।

ঐতিহাসিক বন্ধনে আবদ্ধ চিরবন্ধুপ্রতীম বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মাঝে অকৃত্রিম এক সেতুবন্ধন রচনায় নিবেদিত সিবিআইআর অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, যে গত ১২ মার্চ ২০২১ তথাকথিত এক সংগঠনের ব্যানারে রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে এক বিক্ষোভ মিছিল হয়। যেখানে বক্তারা অত্যন্ত আপত্তিকরভাবে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয়ভাবে আমন্ত্রিত অতিথি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফর প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান মিত্র দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমন প্রতিহত করার ঘোষণা প্রকারান্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মাহুতি দেওয়া অগণিত ভারতীয় বীর সেনাদের প্রতিও চরম অশ্রদ্ধা।

সিবিআইআর মনে করে, এই ধরনরে অপতৎপরতা যেভাবে বেড়েই চলছে, তাতে আমরা স্পষ্টতই দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে এবং দেশকে বন্ধুহীন করবার এক সুগভীর নীলনকশার জাল বিস্তারেই তাদের লক্ষ্য। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব-কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির ভিত্তি রচিত। সেই নীতি ও আদর্শকে অবলম্বন করেই বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতীম ভারতসহ অপরাপর রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সৌহার্দ ও সম্প্রীতির পথে হাঁটছে। আঞ্চলিক এই স্থিতিশীলতাই চক্রান্তকারীদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমরা মনে করি, এই অপশক্তিগুলো দেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত। অবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় এনে চক্রান্তের মুলোৎপাটন করা অত্যন্ত জরুরি। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে যে সম্মৃদ্ধি ও স্বাতন্ত্র নিয়ে যেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে তাকে অর্থবহ ও টেকসই করতেও এসব অপশক্তির বিষদাঁত উপড়ে ফেলা জরুরি। আমরা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সরকারকে এবিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone