মুক্তিযুদ্ধকালীন বর্বোরোচিত ঘটনার স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘ধড়’
সরকারি অনুদানে নির্মিত বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, লেখক আফসান চৌধুরীর ছোটগল্পে ‘কালের পুতুল’ খ্যাত নির্মাতা আকা রেজা গালিব নির্মাণ করেছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ধড়’। শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হলে হয়ে গেলো চলচ্চিত্রটির বিশেষ প্রদর্শনী।
মুক্তিযুদ্ধকালীন ভয়াবহ ও বর্বোরোচিত একটি ঘটনার উপর নির্মিত এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির বিশেষ প্রদর্শনীতে চলচ্চিত্র নির্মাতা, কলাকুশলী সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
মহামারী করোনার এই সময়ে স্বশরীরে উপস্থিত না থাকলেও বিশেষ প্রদর্শনী উপলক্ষে ভিডিও বার্তা পাঠান লেখক আফসান চৌধুরী।
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি বলেন, আমার ছোটগল্প নিয়ে গত দশ পনেরো বছরে বেশ কয়েকজন নির্মাতা উৎসাহ দেখিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাণের। সর্বশেষ বছর তিনেক আগে আকা রেজা গালিব ‘ধড়’ গল্পটি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুমতি চেয়েছে। আমি সন্দিহান ছিলাম, কিন্তু গালিব গল্পটি চলচ্চিত্রে রুপদান করেছে। এজন্য আমি তার এবং তার সহধর্মিনী মেহজাদ গালিব টুম্পার প্রতি কৃতজ্ঞ।
ধড় গল্প নিয়ে আফসান চৌধুরী বলেন, আমি যে একাত্তরটা দেখেছি, সাধারণ মানুষের একাত্তর সেই অভিজ্ঞতাটাই আমার গল্পে এসেছে। খুব তীব্র এবং অনেকটা অ্যাবসার্ড গল্প ‘ধড়’।
নির্মাণের চেয়ে আফসান চৌধুরীর ‘ধড়’ এর গল্পের ভেতরের শক্তির কথাই বার বার বললেন নির্মাতা আকা রেজা গালিব।
নির্মাতা জানান, সরকারি অনুদানে নির্মিত ধড় চলচ্চিত্রটি নির্মাণে সবার পরিশ্রম আর সহযোগিতা তো ছিলোই। কিন্তু আমি মনে করে, এই চলচ্চিত্রটির মূল শক্তি হলো গল্পে। গল্পটাই ছবিটাকে দাঁড় করিয়েছে, ছবিটার যতোটুকু স্ট্রেন্থ তার সবটুকুই গল্পের জন্য। এর সব কৃতজ্ঞতা গল্পকার আফসান চৌধুরীর।
গল্পকারকে নিয়ে গালিব বলেন, আফসান চৌধুরীকে গবেষক কিংবা সাংবাদিক হিসেবেই সবাই তাকে চেনেন, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি গল্পকার হিসেবে বাংলা সাহিত্যে তিনি আন্ডাররেটেড। তার প্রায় সব গল্পই অত্যন্ত শক্তিশালী।
২৫ মিনিট ব্যাপ্তীর এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির বিশেষ প্রদর্শনীর আগে ফিল্ম আর্কাইভের মিলনায়তনে নির্মাতা তার ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রী সহ সকল কলাকুশলীদের পরিচয় করিয়ে দেন। যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছে লুসি তৃপ্তি গোমেজ, আশীষ খন্দকার ও দীপক সুমন।