জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় স্মৃতিসৌধে তিনি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এসময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন এবং লটকন ফলের গাছ রোপন করেন। পরে ১০টা ৪৬ মিনিটে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডা. শেরিংকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
বিমানবন্দরে শেরিংকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেরিংয়ের সম্মানে গার্ড অব অনারও দেয়া হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তার এই সফর।
দিনের সফরসূচি অনুযায়ী, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ডা. শেরিংয়ের সম্মানে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৪ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিববর্ষের ১০ দিনের অনুষ্ঠানের ৮ম দিনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়। এরই মধ্য দিয়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূচনা হয়। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই করে বাংলাদেশ।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার বাংলাদেশপ্রীতি রয়েছে। বরাবরই তিনি বাংলাদেশের বিষয়ে আগ্রহী।
১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ইতোমধ্যে যোগ দিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ ও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে এবং নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী।