‘পাকিস্তানিদের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রয়োজন’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান বলেছেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ এক রাতেই এক লাখের বেশি মানুষকে হত্যা করে পাকিস্তানীরা। ২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে ‘২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস’ পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হলেও এখনো পাকিস্তানিদের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করা সম্ভব হয়নি। সরকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে কুটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।
বাংলাদেশে কর্মরত ভারতের সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইমক্যাব)’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২৫ মার্চ দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘পাকিস্তানের গণহত্যা এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ইমক্যাব।
ইমক্যাব সভাপতি বাসুদেব ধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডেইলী অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক , ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সাহা এবং ইমক্যাব সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিদুল হাসান খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য রাজিব খান ও আমিনুল হক ভুইয়া, সিনিয়র সাংবাদিক নিখিল ভদ্র ও মানিক লাল ঘোষ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাজাহান খান বলেন, রাস্তায় না নামলে দাবি আদায় হবে না। তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে পাকিস্তানীদের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে রাস্তায় নামতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার উদাহরন তুলে ধরে তিনি বলেন, সচিবরা যদি মুক্তিযুদ্ধের চেনা ধারণ না করেন তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন জটিল হবে। বিএনপির জাতীয় ঐক্যের আহবানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা রাজাকাদের নিয়ে জাতীয় ঐক্য করতে চায়। কিন্তুু তা হবে না। জাতীয় ঐক্য হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে। পহেলা ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষনারও দাবি জানান তিনি।
আলোচনা সভা থেকে সিমলা চুক্তি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও পাকিস্তানের কাছে পাওনা ৩৫ হাজার কোটি টাকা আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।