দিল্লির সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে উদ্যোগী বিএনপি
ডেস্ক রিপোর্ট : সরকারকে চাপে রাখার নতুন কৌশল খুঁজছে বিএনপি। এজন্য দল গুছিয়ে রাজপথের আন্দোলনের পাশাপাশি কূটনৈতিক তত্পরতাকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। দলীয় চেয়ারপারসন এর দায়িত্ব দিয়েছেন নির্ভরযোগ্য কয়েকজন নেতার ওপর। ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন তারাও।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দিল্লির সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে মূল ভূমিকা পালন করছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা শমসের মবিন চৌধুরী। সঙ্গে রয়েছেন চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুকসহ দলের আরো কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা।
শমসের মবিন চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দেশের স্বার্থ রক্ষায়ই বিএনপির এ উদ্যোগ। বিএনপি সবসময়ই অর্থবহ ও সমমর্যাদার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাক আমরাও সেটা চাই।’
জানা গেছে, সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনে এখনই মাঠে নামছে না। বরং দল গোছানোকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। তবে সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে কূটনৈতিক তত্পরতা বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন। যদিও দেশটির সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ২০১২ সালের অক্টোবরে ভারত সফরে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ওই সফরে দেশটির রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সফরে বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয় বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে সেসময় দাবি করা হয়। কিন্তু গত বছরের মার্চে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশ সফরে এলে তার সঙ্গে দেখা করেননি খালেদা জিয়া। এতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিএনপির প্রতি কিছুটা মনঃক্ষুণ্ন হয় বলে দেশটির গণমাধ্যম প্রচার করে। সেই তিক্ততা থেকে এবার বেরিয়ে আসতে চাইছে দলটি।
যদিও ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের অবনতি কখনই হয়নি বলে দাবি করেন শমসের মবিন চৌধুরী। মার্চের ওই ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেদিন হরতাল থাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রণব মুখার্জির সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্ধারিত বৈঠকটি হয়নি। এরপর ৪ জুলাই ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে চেয়ারপারসনের বৈঠক হয়েছে। এতে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরো গাঢ় হয়েছে।’
সম্পর্ক মেরামতে ড. ওসমান ফারুকের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ওই ঘটনার পর পরই নয়াদিল্লি যায়। সফর থেকে ফিরে ওসমান ফারুক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সাময়িক ভুল বোঝাবুঝি ছিল। সেটা দূর হয়েছে। আমার মনে হয় না বিএনপির সঙ্গে ভারতের নীতিগত কোনো বিভেদ আছে। ভবিষ্যতে দেশটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।